প্রচণ্ড তাপদাহে বিপর্যস্ত জনজীবন। বৃষ্টি না হওয়ায় নষ্ট হচ্ছে ফসল। রোদ আর গরমে অতিষ্ট হয়ে পড়েছে সাধারণ মানুষ। তীব্র তাপপ্রবাহ থেকে মুক্তি ও বৃষ্টির কামনায় সালাতুল ইসতিসকার নামাজ আদায় করেছে ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈলের ধর্মপ্রাণ মানুষ। নামাজ শেষে বিশেষ মোনাজাতে বৃষ্টি চেয়ে দোয়া করেছেন তারা। এ সময় নামাজে অংশ নেন প্রায় ৫শতাধিক মুসল্লি।
শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) সকাল ১০টায় রাণীশংকৈল ডিগ্রি কলেজ মাঠে এ নামাজ ও মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় মুসল্লিরা অঝোরে চোখের পানি ছেড়ে দিয়ে তওবা ও ক্ষমা প্রার্থনা করেন। এতে ইমামতি ও মোনাজাত পরিচালনা করেন আবাদ তাকিয়া কামিল মাদরাসার সাবেক অধ্যক্ষ মাওলানা মুহাম্মদ আব্দুল্লাহিল বাকী হাফিজাহুল্লাহ।
নামাজ শেষে মোনাজাতে আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করেন মুসল্লিরা। সেই সঙ্গে চোখের পানি ফেলে বৃষ্টির জন্য দোয়া করা হয়। এই নামাজে সাধারণ মানুষও অংশ নেয়।
নামাজে অংশ নেয়া মুসল্লিরা জানান, গত কয়েকদিন ধরে সারাদেশে তাপদাহ চলছে। প্রচণ্ড গরমে মানুষের নাভিশ্বাস উঠেছে। দীর্ঘদিন ধরে অনাবৃষ্টির কারণে মানুষ, পশুপাখিসহ সবাই খুব কষ্টে আছে।ঘরে-বাইরে কোথাও স্বস্তি নেই। রোদে কাজ করতে গিয়ে শ্রমজীবী মানুষ হাঁপিয়ে উঠছে এজন্য তারা বৃষ্টির আশায় নামাজ পড়েছেন।
স্থানীয় বাসিন্দা মো.নাজমুল বলেন, অনাবৃষ্টির কারণে মানুষ হাহাকার করছে। মহান আল্লাহ কোনও কারণে আমাদের ওপরে নারাজ হয়েছেন। এ কারণে বৃষ্টিবর্ষণ বন্ধ রেখেছেন। আজকে মহান আল্লাহর কাছে বৃষ্টি বর্ষণের জন্য মুসল্লিদের নিয়ে নামাজ আদায় করেছি। নামাজ শেষে অনাবৃষ্টি এবং গরম থেকে মুক্তির জন্য মহান আল্লাহর রহমত কামনা করে মোনাজাত করেছি।
নামাজ ও মোনাজাত পরিচালনাকারী ইমাম মাওলানা মুহাম্মদ আব্দুল্লাহিল বাকী হাফিজাহুল্লাহ বলেন, দীর্ঘদিন বৃষ্টি না হওয়ায় মানুষ পানির জন্য খুব বিপদে আছে। বৃষ্টি বা পানির জন্য আল্লাহ সালাতের মাধ্যমে চাইতে বলেছেন। আল্লাহর কাছে চাওয়া সুন্নাত। আর চাওয়াকে আরবিতে সালাতুল ইস্তেখারা বলা হয় অর্থাৎ পানির জন্য দোয়া করা।