Dhaka Reader
Nationwide Bangla News Portal

মিরপুরে পুলিশ বক্সে রিকশাচালকদের আগুন, অলিগলিতে ছড়িয়ে পড়েছে বিক্ষোভ

53

রাজধানীর মিরপুরের কালশী এলাকার একটি ট্রাফিক পুলিশ বক্সে আগুন দিয়েছেন ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার চালকেরা। রবিবার বিকেল সোয়া ৪টার দিকে আগুন দেওয়া হয়।

এর আগে তাঁরা মিরপুর সড়কে আগুন দেন এবং পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। পুলিশের সঙ্গে চালকদের সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে অলিগলিতে। চালকদের সঙ্গে দিনব্যাপী পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনাও ঘটে।

রোববার সকাল থেকে মিরপুর ১০ নম্বর গোলচত্বর এলাকায় সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার চালকেরা।

কয়েক দিন ধরে মিরপুর এলাকায় ট্রাফিক পুলিশ ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করেন এবং শতাধিক গাড়ি ডাম্পিং করেন। এর প্রতিবাদে আজ চালকেরা সকালে বিক্ষোভ শুরু করেন। দুপুরের পর পুলিশ সড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক করতে গেলে চালকদের সঙ্গে তাদের সংঘর্ষ হয়।

এ সময় মিরপুর এলাকার প্রধান সড়কসহ অলিগলিতে ছড়িয়ে পড়ে চালকদের বিক্ষোভ। মিরপুর ১০ নম্বর থেকে ওই এলাকায় সড়কে যানবাহন চলাচল বন্ধ করে দিয়েছেন ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার চালকেরা।

সরেজমিন দেখা গেছে, বিকেল সোয়া ৪টার দিকে কালশী এলাকার একটি পুলিশ বক্সে বিক্ষুব্ধ চালকেরা আগুন ধরিয়ে দেন। এ ছাড়া মিরপুর, পল্লবী ও ইসিভি চত্বর এলাকায় চালকেরা একত্র হয়ে বিক্ষোভ করছেন। পুলিশের সঙ্গে একাধিকবার পাল্টাপাল্টি দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। তবে রিকশাচালকেরা পিছু হটছেন না। তাঁরা বিভিন্ন অলিগলিতে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করছেন। আবার প্রধান সড়কে এসে যানবাহন চলাচলও বন্ধ করে দিচ্ছেন। সকাল থেকে কয়েক দফায় এ ঘটনা ঘটছে।

সকাল ১০টা থেকে প্রায় চার ঘণ্টা সড়ক অবরোধের পর পুলিশ বাস চলাচলের অনুমতি দিলে বিক্ষুব্ধ অটোরিকশার চালকেরা তিনটি বাস ভাঙচুর করেন।

রিজন নামে এক ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার চালক বলেন, ‘হঠাৎ করে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা বন্ধ করে দেওয়ায় আমাদের জীবিকাও বন্ধ হয়ে যায়। এতে সকল চালক ক্ষুব্ধ হয়ে প্রতিবাদ করছে।’

মিরপুরে যান চলাচল বন্ধ থাকায় ওই এলাকায় যানজটের সৃষ্টি হয়। ওই এলাকার মানুষ দুর্ভোগে পড়ে।

মিরপুরে রিকশাচালকদের সড়ক অবরোধ, বাস ভাঙচুর মিরপুরে রিকশাচালকদের সড়ক অবরোধ, বাস ভাঙচুর
মিরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুন্সির সাব্বির বলেন, ‘রিকশাচালকদের সড়ক অবরোধের কারণে সড়কে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। তাদের কয়েকবার সড়কটি ছেড়ে দেওয়ার জন্য অনুরোধ করা হলেও তারা মানেনি। তারা বাস ভাঙচুরের চেষ্টা চালায়। এ সময় তাদের পুলিশ সরে যেতে বললে, তারা ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে।’

Leave A Reply

Your email address will not be published.