Dhaka Reader
Nationwide Bangla News Portal

বাঘায় অসময়ে ১৯ ব্যক্তির বাড়ি পদ্মার ভাঙনে বিলীন

69

রাজশাহী সংবাদদাতা:
রাজশাহীর বাঘায় দুই সপ্তাহে অসময়ের ভাঙনে ১৯ ব্যক্তির বাড়ি পদ্মায় বিলীন হয়ে গেছে। মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টায় পদ্মার মধ্যে চকরাজাপুর ইউনিয়নের পূর্বকালিদাসখালী ও নীচ পলাশি চরে সরেজমিনে গিয়ে এ দৃশ্য দেখা যায়।

জানা যায়, দুই সপ্তাহের ব্যবধানে অসময়ে পদ্মার ভাঙনে নীচ পলাশি চরের ছত্তর ব্যাপারি, বাবু ব্যাপারি, বাদশা ব্যাপারি, হানিফ ব্যাপারি, নুরুজ্জামান শেখ, মুদা ব্যাপারি, উজ্জ্বল শেখ, মিন্না শেখ, শফিকুল ইসলাম, রফিকুল ইসলাম, সাহাদুল ইসলাম, জিন্না শেখ, বখতিয়ার শেখ, মোজা ব্যাপারি, গুলবার শেখ, জাহানারা বেগম, আবদুল আওয়াল, সুলতান আলীর বাড়ির ভিটে ভাঙনে বিলীন হয়েছে। তারা অন্যত্রে আশ্রয় নিয়েছেন। এ ছাড়া গত বছরে শত শত পরিবার পরিবার ভিটেমাটি হারিয়ে অন্যত্রে চলে গেছে।

এছাড়া কয়েক বছরের ব্যবধানে পদ্মার মধ্যে ভাঙনে পদ্মাগর্ভে বিলীন হয়েছে চকরাজাপুর ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের চকরাজাপুর চর, ৭ নম্বর ওয়ার্ডের দাদপুর চর, ৯ নম্বর ওয়ার্ডের পলাশি ফতেপুর চর, ৫ নম্বর ওয়ার্ডের কালিদাসখালী চর, ৩ নম্বর ওয়ার্ডের চৌমাদিয়া চর। স্থানান্তর করা হয়েছে চকরাজাপুর হাইস্কুল, চকরাজাপুর বাজার, পূর্বকালিদাসখালী, চৌমাদিয়া সরকারি প্রাইমারি স্কুল।

হুমকিতে রয়েছে চকরাজাপুর হাইস্কুল ও বাজার, ৪ নম্বর ওয়ার্ডের চকরাজাপুর, ৩ নম্বর ওয়ার্ডের কালিদাশখালি, ৮ নম্বর ওয়ার্ডের লক্ষীনগর, ১ নম্বর ওয়ার্ডের আতারপাড়া চর, ২ নম্বর ওয়ার্ডের চৌমাদিয়া চর ৭৫ ভাগ, ৫ নম্বর ওয়ার্ডের কালিদাশখাী ৮০ ভাগ, ৬ নম্বর ওয়ার্ডের পূর্ব কালিদাশখালী চরের ৭০ ভাগ। চকরাজাপুর হাইস্কুলটি আবারও ঝুঁকিতে রয়েছে।

দাদপুর চরের নান্নু শেখ এক সপ্তাহের ব্যবধানে ৫ বিঘা ভূট্টার আবাদ করা জমি পদ্মায় বিলীন হয়ে গেছে বলে জানান।
চকরাজাপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ডিএম বাবুল মনোয়ার দেওয়ান বলেন, ক্ষতিগ্রস্ত ২৫০টি পরিবারের তালিকা দেওয়া হয়েছে। আরও ৫০ পরিবার ভাঙনের কবলে পড়েছে। বিদ্যুতের ১৫০টি পুল উঠিয়ে নেওয়া হয়েছে।

রাজশাহী পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-সহকারী প্রকৌশলী মাহাবুব রাসেল বলেন, নদীর মাঝখানে চর পড়ে পানির স্বাভাবিক প্রবাহ বন্ধ হওয়ায় অসময়ে পদ্মার ভাঙন থামছেনা।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার তরিকুল ইসলাম বলেন, রাজশাহী-৬ (বাঘা-চারঘাট) আসনের সংসদ সদস্য ও সাবেক পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলমের সহযোগিতায় ইতোমধ্যে ৪৮ পরিবারের প্রত্যেকে ৫০ হাজার করে টাকা দেওয়া হয়েছে। বাকিদের সরকারি অনুদান দেওয়ার চেষ্টা চলছে।

Leave A Reply

Your email address will not be published.