চাঁদপুর জেলায় এ বছর ৬৩ হাজার হেক্টর জমিতে বোরো ধানের আবাদ হয়েছে। এখন এই ধান কর্তন শুরু হবে। সেচ কিংবা অন্য কোন ধরনের সমস্যা নেই বোরো আবাদে। তবে এপ্রিল মাসজুড়ে টানা তাপদাহে মৌসুমি সবজির ক্ষতির আশঙ্কা করছেন কৃষকরা। চাঁদপুরে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৬-৩৭ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে রয়েছে বলে স্থানীয় আবহাওয়া পর্যবেক্ষক কেন্দ্র থেকে এ তথ্য জানা যায়। কৃষি বিভাগ বলছেন, সবজি ভালো রাখার জন্য কৃষকদের সার্বিক পরামর্শ দেওয়া হবে।
শনিবার দুপুরে সরজমিনে সদর উপজেলার শাহ মাহমুদপুর ইউনিয়নের কৃষি মাঠ গুলোতে ঘুরে দেখা গেছে ধান খেতগুলোর ফলন খুবই ভালো। তবে সবজি ক্ষেতগুলোতে নানা ধরনের সমস্যা দেখা দিয়েছে।
এসব মাঠে এ বছর কৃষকরা বোরো ধানের পাশাপাশি পাট, ভুট্টা। সবজির মধ্যে কইডা, চিচিঙ্গা, করলা, কচু, ঢেঁড়স, ডাটা, পুঁইশাক আবাদ করেছেন। পানির অভাবে অনেক কচুর জমি শুকিয়ে গেছে। যার ফলে কচু গাছগুলোর পাতা শুকিয়ে লাল হয়ে যাচ্ছে। অধিক তাপে ভুট্টা গাছগুলো খুব দ্রুত শুকিয়ে যাচ্ছে।
ঘোষেরহাট এলাকার কৃষক লতিফ মাল জানান, তার প্রায় বিশ শতাংশ জমিতে করলা আবাদ করেছেন। টানা কয়েকদিনের গরমে করলা পেকে নিচে পড়ছে এবং গাছের পাতা গুলো মরে যাচ্ছে।
পার্শ্ববর্তী কৃষ্ণপুর গ্রামের কৃষক জসীম উদ্দীন বলেন, উন্নত বীজ ব্যবহার করে একাধিক জমিতে কইডা, চিচিঙ্গা ও করলা আবাদ করেছেন। এখন পর্যন্ত সবজির জমিগুলো মোটামুটি ভালো আছে। তবে আরো গরম পড়লে ক্ষতির সম্মুখীন হবেন।
একই গ্রামের কৃষক জহিরুল হক গাজী বলেন, তিনি তার জমিতে এ বছর কইডি, চিচিঙ্গা ও করলা আবাদ করেছেন। গরম তাপের মধ্যে জমিতে পানি না দিতে পারায় ফুল হলেও ফলগুলো হচ্ছে না। ফুলগুলো মরে যাচ্ছে।
কৃষক মোহাম্মদ বিল্লাল গাজী। তিনি এ বছর বোরো ধান এবং সবজি উভয় আবাদ করেছেন। টানা তাপের কারণে সবজির জমিগুলোতে পানি দিচ্ছেন। আর ৩ একর জমিতে বোরো ধানের আবাদ করেছেন। ফলন খুব ভালো হয়েছে। খুব শিগগিরই তিনি কর্তন শুরু করবেন।
চাঁদপুর জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক শাফায়েত আহমেদ সিদ্দিকী বলেন, চাঁদপুর জেলায় বোরো ধান আবাদে কোন ধরনের সমস্যা নেই। ফলন ভালো হয়েছে। তবে টানা কয়েকদিনের তাপদাহে সবজির ক্ষতির আশঙ্কা করছেন। বৃষ্টি না থাকায় এবং জমিতে পানি না দেওয়ার কারণে সবজির ক্ষতি হতে পারে। সংশ্লিষ্ট এলাকার কৃষি কর্মকর্তাদের সবজির ফলন ভালো রাখার জন্য মাঠে থাকতে তিনি নির্দেশনা প্রদান করেছে।