Dhaka Reader
Nationwide Bangla News Portal

চতুর্থ ধাপে উপজেলা চেয়ারম্যান হলেন যারা

48

বড় কোনো গোলযোগ ছাড়াই শান্তিপূর্ণভাবে শেষ হয়েছে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের চতুর্থ ধাপের ভোটগ্রহণ। দেশের ৬০ উপজেলার পাঁচ সহস্রাধিক ভোটকেন্দ্রে বুধবার সকাল ৮টায় ভোটগ্রহণ শুরু হয়, একটানা বিকাল ৪টা পর্যন্ত চলে।

এ ধাপে ছয়টি উপজেলায় ইভিএমে এবং বাকিগুলোতে ব্যালট পেপারে ভোট হয়। আগের তিনটি ধাপের মতই তুলনামূলক কম ভোটার উপস্থিতিতে ভোটগ্রহণ হয়। ভোট শেষে কেন্দ্রে কেন্দ্রে শুরু হয় গণনা।

সন্ধ্যার পর থেকে সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং কর্মকর্তা নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা করেন।

এ ধাপের নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে একজন, ভাইস চেয়ারম্যান ৩ জন ও নারী ভাইস চেয়ারম্যান পদে একজন ইতোমধ্যে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন।

ছাগলনাইয়া (ফেনী): জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য মো. মিজানুর রহমান মজুমদার কাপ-পিরিচ প্রতীকে ৫৪ হাজার ৯২১ ভোট পেয়ে চেয়ারম্যান পদে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রার্থী শহিদুল ইসলাম দোয়াত-কলম প্রতীকে পেয়েছেন ১ হাজার ৩৪৯ ভোট।

আমতলী (বরগুনা): উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান গোলাম সরোয়ার ফোরকান আনারস প্রতীকে ৩৭ হাজার ১৮৮ ভোট পেয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সদস্য এলমান উদ্দিন আহমেদ পেয়েছেন ১০ হাজার ৮৯১ ভোট।

তালতলী (বরগুনা): উপজেলা যুবলীগের সাবেক সভাপতি মো. মনিরুজ্জামান মিন্টু আনারস প্রতীক নিয়ে ২০ হাজার ৩৯৬ ভোট পেয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকততম প্রার্থী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি রেজবিউল কবির জোমাদ্দার পেয়েছেন ১৮ হাজার ৪১৩ ভোট।

কানাইঘাট (সিলেট): জেলা আওয়ামী লীগের বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক মোস্তাক আহমদ পলাশ মোটরসাইকেল প্রতীকে ৩৫ হাজার ৩০২ ভোট পেয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক উপ-কমিটির সদস্য শামসুজ্জামান বাহার ঘোড়া প্রতীকে পেয়েছেন ২৯ হাজার ৭৬৫ ভোট।

জকিগঞ্জ (সিলেট): উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি লোকমান উদ্দিন চৌধুরী দোয়াত-কলম প্রতীকে ২৪ হাজার ৬৩ ভোট পেয়ে পুনরায় চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জমিয়ত নেতা মাওলানা বিলাল আহমদ ইমরান কাপ-পিরিচ প্রতীকে পেয়েছেন ১৬ হাজার ৭৬৮ ভোট।

বদরগঞ্জ (রংপুর): জেলা যুবলীগের সিনিয়র সহসভাপতি ফজলে রাব্বী সুইট কাপ-পিরিচ প্রতীকে ৬১ হাজার ৫৯৬ ভোট পেয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী উপজেলা যুবলীগের আহ্বায়ক হাসান তরিকুল মোটরসাইকেল প্রতীকে পেয়েছেন ৪৫ হাজার ৭৫২ ভোট।

তারাগঞ্জ (রংপুর): উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য আনিচুর রহমান দোয়াত-কলম প্রতীকে ৪১ হাজার ৭৩৫ ভোট পেয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী উপজেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি শাহিনুর ইসলাম মোটরসাইকেল প্রতীকে ২৫ হাজার ১৮৬ ভোট।

কামারখন্দ (সিরাজগঞ্জ): উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি আব্দুল মতিন চৌধুরী আনারস প্রতীকে ১৭ হাজার ২৮৬ ভোট পেয়ে চেয়ারম্যান হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সেলিম রেজা দোয়াত কলম প্রতীকে পেয়েছেন ১৪ হাজার ১৭৮ ভোট।

রায়গঞ্জ (সিরাজগঞ্জ): উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি গোলাম হোসেন শোভন সরকার ঘোড়া প্রতীকে ৭০ হাজার ৮৪২ ভোট পেয়ে চেয়ারম্যান হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী সদ্য সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ইমরুল হোসেন তালুকদার ইমন দোয়াত-কলম প্রতীকে পেয়েছেন ১৭ হাজার ৮০৫ ভোট।

সদর (যশোর): যুবলীগ কর্মী তৌহিদ চাকলাদার ফন্টু মোটরসাইকেল প্রতীকে ৫৭ হাজার ৯১৪ ভোট পেয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী যুব মহিলা লীগ সদর উপজেলা শাখার সদ্য বহিষ্কৃত আহ্বায়ক ফাতেমা আনোয়ার ঘোড়া প্রতীকে পেয়েছেন ৫৫ হাজার ৬১০ ভোট।

সরিষাবাড়ী (জামালপুর): উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মো. রফিকুল ইসলাম আনারস প্রতীকে ৪২ হাজার ২১৩ ভোট পেয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী উপজেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য মো. তালেব উদ্দিন দোয়াত-কলম প্রতীকে পেয়েছেন ১৯ হাজার ১৪৭ ভোট।

বাবুগঞ্জ (বরিশাল): বরিশাল জেলা মহিলা শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক মোসা. ফারজানা বিনতে ওহাব আনারস প্রতীকে ২৮ হাজার ৫১৪ ভোট পেয়ে চেয়ারম্যান পদে জয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সরদার খালেদ হোসেন স্বপন পেয়েছেন ২৫ হাজার ১১৪ ভোট।

ভালুকা (ময়মনসিংহ): জেলা আওয়ামী লীগের কোষাধ্যক্ষ হাজী রফিকুল ইসলাম রফিক আনারস প্রতীক নিয়ে ৪৮ হাজার ৬৯৪ ভোট পেয়ে চেয়ারম্যান পদে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক গোলাম মোস্তুফা দোয়াত-কলম প্রতীক নিয়ে ৩৪ হাজার ১৬৯ ভোট পেয়েছেন।

গফরগাঁও (ময়মনসিংহ): উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আশরাফ উদ্দিন বাদল আনারস প্রতীক নিয়ে ৭১ হাজার ৩০৪ ভোট পেয়ে চেয়ারম্যান পদে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা ড. মোহাম্মদ আবুল হোসেন দীপু পেয়েছেন ১৯ হাজার ৭৪৫ ভোট।

নান্দাইল (ময়মনসিংহ): উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম শাহান দোয়াত-কলম প্রতীক নিয়ে ৪৬ হাজার ৪৩৬ ভোট পেয়ে চেয়ারম্যান পদে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক এমদাদুল হক ভূঁইয়া আনারস প্রতীকে পেয়েছেন ২৯ হাজার ৫৮৭ ভোট।

বাঁশখালী (চট্টগ্রাম): চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের শ্রম বিষয়ক সম্পাদক মো. খোরশেদ আলম ৬১ হাজার ৫১১ ভোট পেয়ে চেয়ারম্যান পদে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান মুহাম্মদ এমরানুল হক আনারস প্রতীকে পেয়েছেন ২১ হাজার ৯৭৯ ভোট।

বোয়ালমারী (ফরিদপুর): উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এম এম মোশাররফ হোসেন মুশা মিয়া দোয়াত-কলম প্রতীকে ৪৩ হাজার ২৩৬ ভোট পেয়ে চতুর্থবারের মতো চেয়ারম্যান পদে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী শরীফ সেলিমুজ্জামান লিটু ঘোড়া প্রতীকে পেয়েছেন ৩৪ হাজার ৩৫৫ ভোট।

আলফাডাঙ্গা (ফরিদপুর): স্বর্ণ ব্যবসায়ী কাজী মনিরুল হক মোটরসাইকেল প্রতীকে ১৩ হাজার ৫৯৩ ভোট পেয়ে চেয়ারম্যান পদে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বর্তমান চেয়ারম্যান এ কে এম জাহিদ হাসান কাপ-পিরিচ প্রতীকে পেয়েছেন ১০ হাজার ৪২৯ ভোট।

Leave A Reply

Your email address will not be published.