নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলার খাদুন এলাকায় গাজী টায়ার্স কারখানায় লুটপাটের ঘটনাকে কেন্দ্র করে যুবলীগ ও ছাত্রলীগ নেতার নেতৃত্বে সংঘর্ষে জড়িয়েছে দুই পক্ষ। সাবেক মন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজীর গ্রেপ্তারের খবর মাইকে প্রচারের পর গত রোববার দুপুরে এই লুটপাট শুরু হয়, যা পরে সংঘর্ষে রূপ নেয়। রাতে কারখানার একটি ভবনে আগুন দেওয়ার ঘটনাও ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শীদের ভাষ্য অনুযায়ী, সংঘর্ষের নেতৃত্বে ছিলেন শহিদুল ইসলাম এবং রবিন হোসাইন ওরফে রাফি। শহিদুল তারাব পৌর যুবলীগের নেতা হিসেবে পরিচিত, আর রবিন তারাব পৌর ছাত্রলীগের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক সাধারণ সম্পাদক। সংঘর্ষের বিষয়ে দুই পক্ষই নিজেদের লুটপাট ঠেকাতে গিয়ে হামলার শিকার হওয়ার দাবি করেছেন।
শনিবার রাতে রাজধানীর শান্তিনগর এলাকা থেকে কারখানার মালিক সাবেক সংসদ সদস্য গোলাম দস্তগীর গাজী গ্রেপ্তার হওয়ার পর থেকেই কারখানার এলাকায় উত্তেজনা শুরু হয়। বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতাকর্মী কারখানার নিরাপত্তার জন্য এলাকায় পাহারার দাবি করে। কারখানা কর্তৃপক্ষ তা মানতে রাজি না হলে তারা হুমকি দিয়ে চলে যায়।
রোববার দুপুরের পর কারখানার আশপাশে প্রায় তিন শতাধিক লোক জড়ো হয় এবং বিভিন্ন পাশ দিয়ে লুটপাট শুরু করে। এক পর্যায়ে লুটের সময় দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। সংঘর্ষে রামদা, সামুরাই, এমনকি আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহারের অভিযোগ পাওয়া গেছে। সংঘর্ষের ফলে তিনটি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করা হয় এবং পরে একটি ভবনে আগুন দেওয়া হয়।
ঘটনাস্থলে থাকা অনেকেই জানিয়েছেন, রবিন ও তাঁর ভাই বাবুর লোকজন লুট শুরু করে এবং শহিদুলের লোকজন পরে লুট করতে এলে সংঘর্ষ বাধে। নারায়ণগঞ্জের জেলা ম্যাজিস্ট্রেট হামিদুর রহমান জানিয়েছেন, ঘটনার তদন্ত চলছে, এবং ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।