Dhaka Reader
Nationwide Bangla News Portal

রংপুরে হেযবুত তওহীদের উপর হামলার প্রতিবাদে রাজধানীতে মানববন্ধন ও সমাবেশ

‘হিন্দুরা মুসলমানদের উপর হামলা করেছে’ মসজিদের মাইকে এমন অপপ্রচার চালিয়ে রংপুরের পীরগাছায় হেযবুত তওহীদের সদস্যদের বাড়িঘরে দফায় দফায় হামলা চালিয়েছে একদল উগ্রবাদী সন্ত্রাসীগোষ্ঠী। অরাজনৈতিক সংস্কারমূলক আন্দোলন হেযবুত তওহীদের সদস্যদের বাড়ি-ঘরে ভাঙচুর, লুটপাট, অগ্নিসংযোগ করে কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি করে সন্ত্রাসীরা। ৫টি বাড়ি ও ২০ টি মোটরসাইকেলে অগ্নিসংযোগ করে তারা। এসময় সন্ত্রাসীদের নৃশংস হামলায় হেযবুত তওহীদের অন্তত ২০ সদস্য আহত হয়। এ ঘটনার প্রতিবাদে রাজধানীতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করেছে হেযবুত তওহীদ। ব্যর্থ আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর অকার্যকর অসাড় ভূমিকার তীব্র নিন্দা ও ধিক্কার জানানো হয় কর্মসূচি থেকে।

সোমবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) বিকাল ৪টায় রাজধানীর কারওয়ান বাজারে এ বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করে হেযবুত তওহীদ।

হেযবুত তওহীদের ঢাকা মহানগর সভাপতি মাহবুব আলম মাহফুজের নেতৃত্বে মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন ঢাকা মহানগর সহ-সভাপতি আল আমিন সবুজ, সাধারণ সম্পাদক ফরিদ উদ্দিন রব্বানি, ঢাকা দক্ষিণের সভাপতি মো. মেজবা উল ইসলাম, নারায়ণগঞ্জ জেলা সভাপতি আরিফ উদ্দিন, ঢাকা বিভাগীয় নারী নেত্রী তাসলিমা ইসলাম, ঢাকা মহানগর নারী নেত্রী আয়েশা সিদ্দীকা প্রমুখ।

এসময় বক্তারা আরো বলেন, কয়েকদিন ধরেই হামলার পায়তারা করছিল উগ্রবাদী গোষ্ঠীটি। বিষয়টি স্থানীয় প্রশাসনকে অবগত করা হলেও তাদের কার্যতঃ কোনো ব্যবস্থা নিতে দেখা যায় নি। সুযোগ পেয়ে পরিকল্পনাকারীরা সকাল ১০ টার দিকে লাঠি, রড, রাম দা, কিরিচ ইত্যাদি দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে প্রথম দফায় হামলা চালায়। এরপর ‘মসজিদের মাইকে মাইকে ঘোষণা দেয়, ‘নাগদহ ছিদাম বাজার এলাকায় হিন্দুরা মুসলমানদের উপর হামলা করেছে। আপনারা হিন্দুদের প্রতিহত করার জন্য এগিয়ে আসেন’ -এ ধরনের মিথ্যা প্রচারণা চালিয়ে তারা হাজার হাজার ধর্মবিশ্বাসী মানুষকে ক্ষিপ্ত করে তোলে। দ্বিতীয় দফায় বিক্ষুব্ধ জনতাকে সাথে নিয়ে আবারো হামলা চালায় সন্ত্রাসীরা।

বক্তারা অভিযোগ করে বলেন, সংবাদ পেয়ে সেনাবাহিনী ও প্রশাসন ঘটনাস্থলে যায়। প্রশাসনের উপস্থিতিতেও সন্ত্রাসীরা হামলা অব্যাহত রাখে। প্রশাসনের সামনেই তারা ৫টি বাড়ি-ঘরে অগ্নিসংযোগ করে এবং ২০টি মোটরসাইকেল পুড়িয়ে দেয়। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর এমন অকার্যকর অসাড় ভূমিকার তীব্র প্রতিবাদ জানান বক্তারা।

মানববন্ধন শেষে বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়। এসময় ‘উই ওয়ান্ট জাস্টিস – জাস্টিস জাস্টিস’ ‘জরুরি আইন জারি করো- মব জাস্টিস বন্ধ করো’ ‘আগুন জ্বলে বাড়িতে- উপদেষ্টা গাড়িতে’ ‘বাংলাদেশের সর্বনাশ – উপদেষ্টার ফাগুন মাস’ ‘সন্ত্রাসীদের কালো হাত ভেঙে দাও গুড়িয়ে দাও’ ‘সন্ত্রাসীদের চামড়া তুলে নেব আমরা’ ‘আমার বাড়ি আগুন কেন- প্রশাসন জবাব চাই’ ‘আমার উপর হামলা কেন- প্রশাসন জবাব চাই’ ইত্যাদি স্লোগানে বিক্ষোভে ফেটে পড়েন হেযবুত তওহীদের বিক্ষুব্ধ নেতাকর্মীরা।

Leave A Reply

Your email address will not be published.