২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রস্তাবিত জাতীয় বাজেটে মোবাইল ফোনে ব্যবহৃত সিম কার্ডে কর বাড়ানো হয়েছে। যে কোনো অপারেটরের সিম কেনার ক্ষেত্রে বেড়েছে ১০০ টাকা কর। ফলে সিম কার্ডের দাম বাড়বে। প্রস্তাবিত বাজেটে বলা হয়েছে, বর্তমানে মোবাইল ফোনের সিম কার্ডের ওপর কর রয়েছে ২০০ টাকা। এটি বাড়িয়ে ৩০০ টাকা করা হয়েছে। ফলে বাড়তি দামে গ্রাহককে সিমকার্ড কিনতে হবে। শুধু সিম কার্ড নয়, মোবাইলের কল রেট ও ইন্টারনেটের ওপরও সম্পূরক শুল্ক বাড়ানো হয়েছে। এতে মোবাইলে কথা বলা এবং ইন্টারনেট ব্যবহারের ক্ষেত্রেও গ্রাহক পর্যায়ে খরচ বাড়ছে।
আগে মোবাইল ফোনের কল রেট ও ইন্টারনেটের ডাটা প্যাকেজের ওপর ১৫ শতাংশ ভ্যাট এবং ১৫ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক দিতে হতো গ্রাহকদের। এখন তা আরও ৫ শতাংশ বাড়ানো হয়েছে। এর সঙ্গে ভোক্তাদের ১ শতাংশ সারচার্জ দিতে হবে। নতুন করে সম্পূরক শুল্ক ৫ শতাংশ বাড়ানোয় একজন গ্রাহক এখন ১০০ টাকার রিচার্জ করলে ভ্যাট ও সম্পূরক শুল্ক কেটে নেওয়ার পর ৬৯ টাকা ৩৫ পয়সার কথা বলতে পারবেন।
আগে ১০০ টাকা রিচার্জ করলে ভ্যাট ও সম্পূরক শুল্ক কেটে নেওয়ার পর গ্রাহকরা ৭৩ টাকার কথা বলতে পারতেন। অর্থাৎ, ১০০ টাকা রিচার্জে আগের চেয়ে ৩ টাকা ৬৫ পয়সার কথা কম বলতে পারবেন গ্রাহকরা। অন্যদিকে নতুন করে সম্পূরক শুল্ক বাড়ানোয় একজন গ্রাহককে এখন ১০০ টাকার ইন্টারনেট প্যাকেজে ভ্যাট ও সম্পূরক শুল্ক বাবদ ৩০ টাকা ৬৫ পয়সা কর দিতে হবে। বাকি ৬৯ টাকা ৩৫ পয়সার ইন্টারনেট ব্যবহার করতে পারবেন তিনি।
আগে ১০০ টাকার ইন্টারনেট প্যাকেজ কিনলে ভ্যাট ও সম্পূরক শুল্ক কাটা হতো ২৭ টাকা। বাকি ৭৩ টাকার ইন্টারনেট ব্যবহার করতে পারতেন গ্রাহকরা। এদিকে, প্রস্তাবিত বাজেট ঘোষণার পরপরই নতুন এ শুল্ক হার কার্যকর করবে মোবাইল ফোন অপারেটরগুলো। একটি মোবাইল অপারেটর কোম্পানির যোগাযোগ বিভাগের কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করে জাগো নিউজকে বলেন, ‘বাজেট ঘোষণার জন্য অর্থমন্ত্রী জাতীয় সংসদে বক্তব্য দেওয়া শুরু করলেই এ-সংক্রান্ত আদেশ (এসআরও) পাঠানো হয়। ফলে আজ বিকেল ৩টার পর থেকেই নতুন হারে গ্রাহকের কাছ থেকে কর কর্তন শুরু করা হতে পারে।’