চাঁদপুরের কচুয়ায় শালিস বৈঠকে প্রকাশ্যে জনসম্মুখে আকলিমা বেগম (৩০) নামে এক গৃহবধূকে মারধর করার ঘটনায় এক ইউপি সদস্যসহ ৪ জনকে গ্রেফতার করেছে কচুয়া থানা পুলিশ। আটককৃতরা হলেন- ইউপি সদস্য ফরিদ আহমেদ (৩৫), জসিম উদ্দিন (৪৫), আনোয়ার হোসেন (৫০) ও নবীর হোসেন (৪০)। বৃহস্পতিবার ১০ আগস্ট গ্রেফতারকৃত দেরকে চাঁদপুর বিজ্ঞ আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করে।
গৃহবধু আকলিমা জানান, উপজেলার ৬নং উত্তর কচুয়া ইউনিয়নের সিংআড্ডা গ্রামের মজুমদার বাড়ির আব্দুর রহিমের সাথে তার বিয়ে হয়। প্রায় ১০ বছর হয় সে মারা যায়। গত ৫দিন পূর্বে একই গ্রামের পাটওয়ারী বাড়ির আলমগীর হোসেকে বিয়ে করি। এ বিয়েকে কেন্দ্র করে বুধবার (৯ আগস্ট) ১নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য ফরিদ আহমেদের বাড়িতে শালিস বৈঠক বসে। শালিস বৈঠকে আমার প্রথম পক্ষের ভাসুরের ছেলে আলমগীরসহ অন্যান্যরা মেম্বারের নির্দেশে এবং তার উপস্থিতিতে শালিস চলাকালীন সময়ে প্রকাশ্যে লাঠি দিয়ে আমাকেসহ নব-বিবাহিত স্বামী আলমগীরকে বেধড়ক মারধর করে। পরে আমার পরিবারের লোকজন আমাকে উদ্ধার করে কচুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা করায়।
কচুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইব্রাহীম খলিল জানান, ঘটনার দিন রাতে অভিযোগ পেয়ে আমরা তাৎক্ষণিক ইউপি সদস্য ফরিদ আহমেদ ও তার ভাই জসিমসহ ৪ জনকে গ্রেফতার করি এবং আকলিমার অভিযোগের ভিত্তিতে প্যানেল কোড সংশ্লিষ্ট ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। এতে আলমগীরকে প্রদান বিবাদী করে ১৭ জনকে অভিযুক্ত করা হয় এবং ৩০/৪০ জনকে অজ্ঞাত নামা আসামী করা হয়। মামলার প্রদান আসামী আলমগীরসহ অন্যান্যরা পলাতক থাকায় তাদেরকে গ্রেফতারের জন্য অভিযান অব্যাহত রয়েছে।