রাশিয়ার সীমান্ত অঞ্চল থেকে শুরু করে রাজধানী মস্কোতে একের পর এক হামলা চালাচ্ছে ইউক্রেন। রোববারের হামলার পর মঙ্গলবার গভীর রাতে আবারও মস্কোতে ড্রোন হামলা চালিয়েছে ইউক্রেন। সেই রাতেই এই প্রথমবারের মতো কৃষ্ণসাগরে টহলরত রুশ নৌযানেও দফায় দফায় ড্রোন হামলা চালিয়েছে ইউক্রেন। এএফপি, রয়টার্স, তাস।
মঙ্গলবার রাশিয়া কর্তৃক ভূপাতিত একটি ইউক্রেনীয় ড্রোন মস্কোর একটি অফিস টাওয়ারে আঘাত হানে। এছাড়া অন্যান্য একাধিক ড্রোন ভূপাতিত করা হয়েছিল।
মঙ্গলবার রাত ৩.৪০ মিনিটের টেলিগ্রাম পোস্টে মস্কোর মেয়র সের্গেই সোবিয়াানিন বলেন, ‘মস্কোতে যাওয়ার সময় বেশ কয়েকটি ড্রোন বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা গুলি করে ভূপাতিত করেছে। একটি (ড্রোন) গতবারের মতো (মস্কো) সিটিতে একই টাওয়ারে উড়ে গিয়ে পড়ে। ভবনটির ২১ তলার সম্মুখভাগ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘হতাহতের কোনো তথ্য নেই,’ জরুরি পরিষেবা ঘটনাস্থলে রয়েছে। রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় মঙ্গলবার ইউক্রেনকে মস্কোর ওপর হামলার জন্য দায়ী করে বলেছে, মস্কো অঞ্চলের একাধিক স্থাপনা লক্ষ্য করে তারা এসব হামলা চালিয়েছে।
বিবৃতিতে মন্ত্রণালয় বলেছে, ‘মস্কো অঞ্চলের ওডিনসোভো এবং নারোফোমিনস্ক জেলার ভূখণ্ডে বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা দ্বারা দুটি ইউক্রেনীয় ড্রোন ধ্বংস করা হয়েছে।’ ‘আরেকটি ড্রোন ইলেকট্রনিক যন্ত্রের মাধ্যমে দমন করা হয়েছিল এবং নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে মস্কো-শহরের অনাবাসিক ভবনে বিধ্বস্ত হয়েছিল।’
প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় আরও জানিয়েছে, ‘রাতে কৃষ্ণসাগরে মস্কোর টহল নৌযান লক্ষ্য করেও দফায় দফায় ড্রোন হামলা চালায় ইউক্রেন। তবে সব ড্রোন হামলাই প্রতিহত করা হয়েছে। সেখানে ‘তিনটি শত্রু নৌযান গুলি করে ধ্বংস করা হয়েছে।’ বিবৃতিতে আরও বলা হয়, বর্ধিত ক্রিমিয়া উপদ্বীপে রাশিয়ার কৃষ্ণসাগর নৌবহর ঘাঁটি সেভাস্তোপলের ৩৪০ কিলোমিটার (২১০ মাইল) দক্ষিণ-পশ্চিমে নৌযানগুলো এ ড্রোন হামলার শিকার হয়।