রংপুরে অ্যানথ্রাক্স প্রতিরোধে ৩০ লাখ টিকা দেওয়ার প্রস্তুতি

দেশের বিভিন্ন জেলায় গবাদিপশুর মধ্যে অ্যানথ্রাক্স বা তড়কা রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা দেওয়ায় এর বিস্তার রোধে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর জরুরি কার্যক্রম গ্রহণ করেছে। এর অংশ হিসেবে রংপুর বিভাগের জন্য প্রায় ৩০ লাখ অ্যানথ্রাক্স টিকা সরবরাহের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে, যার মধ্যে ২০ লাখ টিকাই রংপুর ও গাইবান্ধা জেলার জন্য বরাদ্দ করা হয়েছে।

রংপুর জেলার ৯টি উপজেলায় ইতোমধ্যে ১ লাখ ৬৭ হাজার গরুকে টিকা দেওয়া হয়েছে। রোগ প্রতিরোধে সচেতনতা বাড়াতে উঠান বৈঠক, পথসভা এবং মতবিনিময় সভার আয়োজন করা হচ্ছে। জেলার ৩৬টি কসাইখানায় স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য এবং ৩২টি মেডিক্যাল টিম টিকা প্রদানের জন্য গঠন করা হয়েছে। পাশাপাশি গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলায় ২৬ হাজার ৪০০ গরুকে টিকা দেওয়া হয়েছে এবং আক্রান্ত এলাকায় মাইকিং, লিফলেট বিতরণ ও মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হচ্ছে।

অ্যানথ্রাক্স একটি ব্যাকটেরিয়াজনিত রোগ, যা গবাদিপশু থেকে মানুষেও ছড়াতে পারে। এ কারণে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর এবং স্বাস্থ্য অধিদপ্তর সমন্বিতভাবে ‘ওয়ান হেলথ’ কর্মসূচির আওতায় জনসচেতনতা বৃদ্ধিতে কাজ করছে। অসুস্থ পশু জবাই না করা এবং মৃত পশুকে পানিতে বা খোলা স্থানে না ফেলে মাটিচাপা দেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।

সম্প্রতি সংগৃহীত রক্তের ১১টি নমুনা পরীক্ষায় অ্যানথ্রাক্স নেগেটিভ এলেও, মাংসের ১১টি নমুনার মধ্যে ১০টিতেই ব্যাকটেরিয়ার উপস্থিতি পাওয়া গেছে। পরিস্থিতি মূল্যায়নের জন্য প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর একটি উচ্চ পর্যায়ের অনুসন্ধান টিম গঠন করেছে, যা শিগগিরই প্রতিবেদন দাখিল করবে।

Comments (0)
Add Comment