যুক্তরাষ্ট্রের পেনসিলভানিয়া অঙ্গরাজ্যের ফিলাডেলফিয়ায় ছয়জন আরোহী নিয়ে একটি ছোট বিমান জনবহুল এলাকায় বিধ্বস্ত হয়েছে। এতে বিমানের সব আরোহী নিহত হওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। এছাড়া, বাড়িঘর ও যানবাহনে আগুন ধরে যাওয়ায় অনেকে আহত হয়েছেন।
শনিবার (১ ফেব্রুয়ারি) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে বিবিসি।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, স্থানীয় সময় শুক্রবার সন্ধ্যায় উত্তর-পূর্ব ফিলাডেলফিয়ার একটি আবাসিক এলাকায় রোগী বহনকারী একটি এয়ার অ্যাম্বুলেন্স বিধ্বস্ত হয়। এতে বিস্ফোরণ ঘটে এবং আগুন ধরে যায়।
মেডিকেল বিমান সংস্থা জেট রেসকিউ এয়ার অ্যাম্বুলেন্স জানিয়েছে, বিমানটিতে চারজন ক্রু সদস্য, একজন শিশু রোগী ও রোগীর সহকারী ছিলেন। সংস্থাটি এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, “এই মুহূর্তে কেউ বেঁচে আছে কি না, তা নিশ্চিত করতে পারছি না।”
পেনসিলভানিয়ার গভর্নর জোশ শাপিরো ঘটনাস্থলে এক সংবাদ সম্মেলনে এটিকে ‘ভয়াবহ বিমান বিপর্যয়’ বলে অভিহিত করেছেন।
দুর্ঘটনাস্থলটি শহরের ঘনবসতিপূর্ণ অঞ্চলে অবস্থিত তিনতলা শপিং সেন্টার রুজভেল্ট মল থেকে কয়েক ব্লক দূরে। এলাকাটিতে বাড়িঘর ও দোকানপাট রয়েছে।
ফিলাডেলফিয়ার মেয়র চেরেল পার্কার জানিয়েছেন, বিমানটি জনবহুল এলাকায় বিধ্বস্ত হওয়ার পর মাটিতে কতজন নিহত হয়েছে, তা এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, দুর্ঘটনার পর একটি ভবনে আগুন লাগে এবং রাস্তায় বিমানের জ্বলন্ত ধ্বংসাবশেষ ছড়িয়ে পড়ে, যার ফলে বেশ কয়েকটি গাড়ি পুড়ে গেছে।
মার্কিন ফেডারেল এভিয়েশন অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের তথ্যমতে, মেড জেটস কোম্পানির পরিচালিত লিয়ারজেট-৫৫ বিমানটি স্থানীয় সময় প্রায় সাড়ে ৫টার দিকে উত্তর-পূর্ব ফিলাডেলফিয়া বিমানবন্দর থেকে উড্ডয়ন করে এবং চার মাইলেরও কম দূরে বিধ্বস্ত হয়।
এ ঘটনায় যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে লিখেছেন, “ফিলাডেলফিয়ায় বিমান বিধ্বস্ত হওয়ার খবর অত্যন্ত দুঃখজনক। আরও নিরীহ প্রাণ হারাল। আমাদের উদ্ধারকর্মীরা সর্বাত্মকভাবে কাজ করছে।”
ওয়াশিংটন ডিসিতে যাত্রীবাহী বিমান ও সামরিক হেলিকপ্টারের মধ্যে সংঘর্ষের মাত্র দুই দিন পর পেনসিলভানিয়ায় এই বিমান দুর্ঘটনা ঘটল। ওয়াশিংটনে গত বুধবারের ওই দুর্ঘটনায় উভয় বিমানের ৬৭ জন আরোহীর সবাই নিহত হয়েছেন বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। এখন পর্যন্ত ৪০টি মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।