নিউজ ডেস্ক:
শারীরিক উপস্থিতিতে অর্থাৎ নিয়মিতভাবে উচ্চ আদালতের বিচারকার্য পরিচালনার জন্য ১৮টি এবং ভার্চুয়ালে ৩৫টি বেঞ্চ গঠন করেছেন প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন। সবমিলিয়ে মোট ৫৩টি বেঞ্চ গঠন করা হয়েছে। সোমবার (১০ আগস্ট) সুপ্রিম কোর্টের ডেপুটি রেজিস্ট্রার মো. আখতারুজ্জামান ভূইয়া (প্রশাসন ও বিচার) স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত শারীরিক উপস্থিতির মাধ্যমে আগামী ১২ আগস্ট থেকে হাইকোর্ট বিভাগের বিচার কার্য পরিচালনা করার জন্য বেঞ্চ গঠন করে দিয়েছেন প্রধান বিচারপতি।
এর ফলে এই ১৮টি বেঞ্চে বুধবার থেকে শারীরিক উপস্থিতিতে হাইকোর্টে বিচারকার্য পরিচালনা করবেন- বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান, বিচারপতি কাজী মো. ইজারুল হক আকন্দ; বিচারপতি মো. আতাউর রহমান খান, বিচারপতি শেখ আবদুল আউয়াল, বিচারপতি এস এম এমদাদুল হক, বিচারপতি ভীষ্মদেব চক্রবর্তী; বিচারপতি এ কে এম আবদুল হাকিম, বিচারপতি ফাতেমা নজীব; বিচারপতি বোরহান উদ্দীন, বিচারপতি সরদার মো. রাশেদ জাহাঙ্গীর; বিচারপতি ওবায়দুল হাসান, বিচারপতি এ কে এম জহিরুল হক; বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম, বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমান; বিচারপতি কৃষ্ণা দেবনাথ, বিচারপতি এ এস এম আবদুল মোবিন; বিচারপতি শেখ মো. জাকির হোসেন, বিচারপতি কে এম জাহিদ সারওয়ার; বিচারপতি মো. হাবিবুল গনি, বিচারপতি মো. রিয়াজ উদ্দিন খান; বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ, বিচারপতি খোন্দকার দিলীরুজ্জামান; বিচারপতি জে বি এম হাসান, বিচারপতি মো. খায়রুল আলম; বিচারপতি মো. রুহুল কুদ্দুস, বিচারপতি কাজী ইবাদত হোসেন; বিচারপতি মো. খসরুজ্জামান, বিচারপতি মো. মাহমুদ হাসান তালুকদার; বিচারপতি মো. খুরশীদ আলম সরকার, বিচারপতি জাফর আহমেদ ও বিচারপতি খিজির আহমেদ চৌধুরী।
এর আগে সুপ্রিম কোর্টের আপিল ও হাইকোর্ট উভয় বিভাগের সব বিচারপতিদের নিয়ে গত বৃহস্পতিবার বিকেল ৩টায় ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ফুলকোর্ট সভা করেন প্রধান বিচারপতি। সেখানেও সিদ্ধান্ত হয়েছিল চলতি সপ্তাহ থেকে নিয়মিত আদালতের পাশাপাশি ভার্চুয়াল মাধ্যমেও চলবে দেশের সর্বোচ্চ আদালত সুপ্রিম কোর্ট। বিচারপতিদের মতামতের ভিত্তিতে এ সিদ্ধান্ত দেন প্রধান বিচারপতি। করোনার কারণে চলতি বছরের ১১ মে থেকে উচ্চ আদালতে শুধুমাত্র ভার্চুয়াল বিচারকার্য পরিচালিত হয়ে আসছিল। ১৮টি নিয়মিত বেঞ্চ গঠনের মধ্য দিয়ে স্বাভাবিক বিচার ব্যবস্থায় ফিরল দেশের সর্বোচ্চ আদালত।