নিউজ ডেস্ক:
ভয়াবহ বিস্ফোরণে দেড় শতাধিক মানুষ নিহতের ঘটনার পর লেবাননের রাজধানী বৈরুতে রাজনৈতিক নেতাদের নিয়ে ক্ষুব্ধ দেশটির হাজার হাজার মানুষ ফের রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ শুরু করেছে। সেই বিক্ষোভ দমনে কাঁদানে গ্যাস ছুড়লে পুলিশের সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। বিক্ষোভকারীরা দেশটির একাধিক মন্ত্রণালয় ও ব্যাংক সমিতি ভবনে ভাঙচুরও চালিয়েছে।
লেবাননের প্রেসিডেন্ট মাইকেল আউনের ছবি পুড়িয়ে প্রথমে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে ঢুকে পড়ে বিক্ষুব্ধরা। তারা সেখান থেকে সব মন্ত্রণালয় দখলে নেওয়ার ঘোষণা দেয়। সংবাদমাধ্যম বিবিসি এ খবর জানিয়েছে। এ ছাড়া বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে পুলিশের দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়েছে। কেন্দ্রীয় শহীদ চত্বরে গোলাগুলির শব্দ শোনা গেছে। এদিকে জনগণের ক্ষোভের মুখে লেবাননের চারজন সংসদ সদস্য পদত্যাগ করেছেন।
কাতায়েব পার্টির তিনজন সংসদ সদস্য এবং একজন স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য জানিয়েছেন, তাঁরা ১২৮ সদস্যের পার্লামেন্ট থেকে পদত্যাগ করছেন। পদত্যাগের পর সংসদ সদস্য নাদিম গেমায়েল বলেন, ‘আমরা এবং আরো কয়েকজন সম্মানিত সংসদ সদস্য রাজনৈতিক প্রভাবশালীদের মুখোশ খুলে দেব।’ এদিকে নারী সংসদ সদস্য পলা ইয়াকুবিয়ানও তাঁর পদত্যাগের কথা ঘোষণা করেছেন।
তিনি লেবাননের অন্যান্য আইন প্রণেতাদের প্রতিও একই আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি টুইটারে বলেন, ভেতর থেকে বিরোধিতা আর কাজে লাগবে না। এই সপ্তাহের শুরুতে লেবাননের ডেমোক্রেটিক দলের সংসদ সদস্য মারওয়ান হামাদেহ বৈরুত বন্দর বিস্ফোরণের প্রতিবাদে পার্লামেন্ট থেকে পদত্যাগ করেন। গত মঙ্গলবার বৈরুতের বন্দর এলাকায় একটি রাসায়নিক পদার্থের গুদামে বিস্ফোরণের ঘটনায় অন্তত ১৫৮ জন নিহত এবং প্রায় সাত হাজার মানুষ আহত হয়। বিস্ফোরণে বৈরুতের বেশ কয়েকটি এলাকা ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। লেবাননের কর্মকর্তারা বলছেন, ছয় বছর ধরে বন্দরে অনিরাপদভাবে মজুদ করা দুই হাজার ৭৫০ টন অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট বিস্ফোরণের ফলে এ বিস্ফোরণ ঘটেছে। এদিকে এ ঘটনার তদন্তে একটি কমিটি গঠনের ঘোষণা দিয়েছে দেশটির সরকার।