প্রেগনেন্সি টেস্ট কিট সাধারণত ৯৯% সঠিক ফলাফল দিতে পারে, তবে এর সঠিকতা কিছু বিষয়ের ওপর নির্ভর করে। প্রেগনেন্সি টেস্ট কিট মানব শরীরে হরমোন হিউম্যান কোরিওনিক গোনাডোট্রোপিন (hCG) এর উপস্থিতি সনাক্ত করে, যা গর্ভধারণের প্রথম দিকে উৎপন্ন হয়।
সঠিকতা নির্ভর করে যেসব বিষয়ের ওপর:
- সঠিক সময়ে পরীক্ষা করা: গর্ভধারণের পরে hCG হরমোনের মাত্রা বাড়তে শুরু করে। মাসিক মিস করার পরই সাধারণত এই হরমোনের মাত্রা টেস্ট কিটের মাধ্যমে সনাক্ত করার মতো পর্যায়ে থাকে। মাসিক মিস হওয়ার ৭-১০ দিন পর টেস্ট করলে সঠিক ফল পাওয়ার সম্ভাবনা বেশি।
- সকালের প্রথম প্রস্রাব: সকালের প্রথম প্রস্রাবে hCG এর মাত্রা বেশি থাকে, তাই সেই সময়ে টেস্ট করলে সঠিক ফল পাওয়ার সম্ভাবনা বেশি।
- টেস্ট কিটের মেয়াদ: মেয়াদ উত্তীর্ণ টেস্ট কিট ব্যবহার করলে ফলাফল সঠিক নাও হতে পারে।
- টেস্টের সঠিক নির্দেশনা অনুসরণ করা: টেস্ট কিটের নির্দেশনা সঠিকভাবে অনুসরণ না করলে ফলাফল ভুল হতে পারে।
ভুল ফলাফল পাওয়ার সম্ভাবনা:
- যদি টেস্টটি খুব তাড়াতাড়ি করা হয়, তবে ফলাফল নেগেটিভ আসতে পারে, যদিও পরে দেখা যায় গর্ভধারণ হয়েছে (false negative)।
- কিছু বিশেষ শারীরিক অবস্থায় যেমন: hCG উৎপন্ন করা টিউমার বা সাম্প্রতিক গর্ভপাত, ফলাফল ভুল হতে পারে (false positive)।
তাই, যদি ফলাফল নিয়ে সন্দেহ থাকে বা নিশ্চিত হতে চান, তাহলে ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী রক্ত পরীক্ষার মাধ্যমে ফলাফল যাচাই করা ভালো।