নারায়ণগঞ্জে ব্যবসার টাকা নিয়ে বিরোধের জেরে হত্যা, আসামী নুরুল আমিন গ্রেফতার

নারায়ণগঞ্জ জেলার সদর এলাকায় চাঞ্চল্যকর ক্লুলেস স্বপন হত্যা মামলার ঘটনায় জড়িত হত্যাকারী ও হত্যার মূল পরিকল্পনাকারী আসামি নুরুল আমীনকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-১০ ও র‌্যাব-১৪ এর যৌথ দল । সোমবার (০৬ মে ২০২৪) রাত সাড়ে ৯টার দিকে ঢাকার দক্ষিণ কেরণীগঞ্জ এলাকা হতে তাকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতার নুরুল আমীন নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানার এনায়েতনগর গ্রামের ইমাম হোসেনের ছেলে।

মঙ্গলবার এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে র‌্যাব -১০ এর সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) সহকারী পুলিশ সুপার এম জে সোহেল এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

জানা যায়, গত ১১ মার্চ সকাল সোয়া ১০টার দিকে নারায়ণগঞ্জ সদর নৌ থানায় কর্মরত এসআই মো. সবুর মিয়া সঙ্গীয় ফোর্সসহ টহলের সময় শীতলক্ষ্যা নদীর পশ্চিম পাড়ে অজ্ঞাতনামা হিসেবে আল আমীনের মরদেহ ভেসে থাকার খবর পান। লাশ উদ্ধার পূর্বক এসআই সবুর মিয়া মৃতদেহের সুরতহাল প্রতিবেদন প্রস্তুতকালে অজ্ঞাতনামা ভিকটিমের চোখের ডান পাশে ও কোমরের উপরের তলপেটে ধারালো অস্ত্রের আঘাতের মাধ্যমে কাটা রক্তাক্ত জখম এবং বুকে রক্ত জমাট আঘাতের চিহ্ন দেখতে পান। প্রাথমিক তদন্তে জানা যায় অজ্ঞাতনামা আসামীরা গত ১১ ফেব্রুয়ারি সকাল আনুমানিক ১১টার আগে ভিকটিমকে হত্যা করে লাশ গুম করার উদ্দেশ্যে শাতলক্ষ্যা নদীতে ফেলে দেয়। এ ঘটনায় নারায়ণগঞ্জ সদর নৌ থানায় কর্মরত এসআই সবুর মিয়া বাদী হয়ে নারায়ণগঞ্জ জেলার সদর থানায় অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। যার মামলা নং-১৬, তারিখ-১২-০৩-২০২৪ ।

র‌্যাব জানায়, মামলা রুজুর পর প্রাথমিক তদন্তে ভিকটিমের নাম পিয়ার আলী স্বপন (৩৫) এবং ভিকটিম নারায়ণগঞ্জ জেলার ফতুল্লা এলাকায় বসবাস করতেন বলে জানা যায়। ভিকটিম স্বপনের সাথে আসামি নুরুল আমিন (৪২) এবং তার ছোট ভাই রুহুল আমিন (৩৯) এর সাথে অংশীদারি ভিত্তিতে কাপড়ের ব্যবসা করতেন। ব্যবসায় বিনিয়োগকৃত টাকা লেনদেন সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে ভিকটিমের সাথে বিরোধের জের ধরে পরিকল্পিতভাবে আসামি নুরুল আমিন ও রুহুল আমিন অজ্ঞাতনামাদের সহযোগিতায় ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাথাড়ি আঘাত করে ভিকটিমকে হত্যা করে শীতলক্ষ্যা নদীতে ফেলে দেয়।

র‌্যাব-১০ সূত্র জানায়, মামলার পর হত্যাকাণ্ডে জড়িত সকল আসামিরা আত্মগোপনে চলে যায়। ঘটনাটি জানার পর র‌্যাব-১০ ও র‌্যাব-১৪ এর একটি যৌথ অভিযানিক দল পিয়ার আলী স্বপন হত্যাকাণ্ডে জড়িত সকল আসামিদের গ্রেফতারের লক্ষ্যে গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি করে। এরই ধারাবাহিকতায় ৬ মে গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে ও তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় এবং র‌্যাব-১৪ এর সহযোগিতায় ঢাকা জেলার দক্ষিণ কেরাণীগঞ্জ থানাধীন কদমতলী এলাকায় একটি যৌথ অভিযান পরিচালনা করে আল আমিনকে গ্রেফতার করা হয়।

র‌্যাবের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আল আমিন হত্যার সাথে সরাসরি জড়িত থাকার বিষয়টি স্বীকার করেছে। মামলা রুজুর পর হতে নিজেকে আইনের হাত থেকে বাঁচানোর জন্য রাজধানী ঢাকা, আশুলিয়া ও সিলেটসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় আত্মগোপন করে ছিল বলে জানা যায়। গ্রেফতারকৃত আসামিকে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে র‌্যাব-১০।

Comments (0)
Add Comment