কক্সবাজারের টেকনাফ পৌরসভা সীমান্তের নাফ নদীর ওপারে মিয়ানমারের রাখাইনে দেশটির সশস্ত্র বাহিনী ও বিদ্রোহী আরাকান আর্মির মধ্যে সংঘর্ষ চলছে। ইতিমধ্যে মিয়ানমারের রাখাইনে অনেক ক্যাম্প দখলে নিয়েছে বিদ্রোহী বাহিনী। এমনকি গত বৃহস্পতিবার ইরাবতী জানিয়েছে রাখাইনে জান্তা বাহিনীর হেডকোয়ার্টার দখল করেছে আরাকান আর্মি।
সোমবার সকাল থেকে নাফ নদীর ওপারে থেমে থেমে গুলাগুলি ও বিস্ফোরণের বিকট শব্দ শোনা যাচ্ছে। বিকট শব্দে টেকনাফ পৌরসভা বাড়িঘর পর্যন্ত কাঁপছে। ফলে স্থানীয়দের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে।
টেকনাফ পৌরসভার জালিয়া পাড়া এলাকার বাসিন্দা সামি জাবেদ বিস্ময় প্রকাশ করে বলেন, ‘ইন্নালিল্লাহ এইভাবে মিয়ানমারে মর্টারশেল? যেন মনে হচ্ছে ঘরের সামনে পড়তেছে! সকালে থেকে গুলাগুলির বিকট শব্দে কাঁপছে টেকনাফ পৌর শহর। আমরা খুবই আতঙ্কে রয়েছি।’
টেকনাফ পৌর সভার ১ নং ওয়ার্ড নাইট্যংপাড়ার বাসিন্দা ইদ্রিস ওয়াহিদ বলেন, ‘সকাল থেকে গোলাগুলি ও মর্টারশেলের বিস্ফোরণে অনেক ভয়ানক পরিস্থিতি বিরাজ করছে। আমরা যারা সীমান্তবর্তী এলাকায় বসবাস করছি তারা খুবই আতঙ্কে আছি।’
টেকনাফ (২-বিজিবি) ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল মো. মহিউদ্দীন আহমেদ জানান, সীমান্তের ওপারে মিয়ানমারের অভ্যন্তরে তাদের চলমান সংঘর্ষ চলছে। তবে নাফ নদীর বাংলাদেশ সীমান্তে মাদক ও রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ ঠেকাতে বর্ডার গার্ড বিজিবির টহল কার্যক্রম জোরদারের পাশাপাশি টেকনাফ সীমান্তে কঠোর নজরদারি বাড়ানো হয়েছে।’