দুই শিক্ষার্থী আপত্তিকর অবস্থায় আটক, পরে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির অভিযোগ ছাত্রীর

ফরিদপুরের সালথা উপজেলার বল্লভদী ইউনিয়নের ফুলবাড়িয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এ কে এম মহিউদ্দিনের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির অভিযোগ তুলেছেন ওই বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির এক ছাত্রী। এ ঘটনার আগে ওই ছাত্রীকে বিদ্যালয়ের দ্বিতীয় তলার সিঁড়ি থেকে এক ছাত্রের সঙ্গে আপত্তিকর অবস্থায় আটক করা হয়। আটকের পর ওই ছাত্রীকে অফিস কক্ষে রাখা হলে ৫-৭ মিনিট পরই প্রধান শিক্ষক শ্লীলতাহানি করেছেন বলে অভিযোগ তোলেন শিক্ষার্থী।

এদিকে, প্রধান শিক্ষক কর্তৃক শ্লীলতাহানির খবর ছড়িয়ে পড়লে এলাকাজুড়ে ক্ষোভের সৃষ্টি হয় শিক্ষার্থী ও অভিভাবক মহলে। ঘটনার পরদিন সোমবার (১৮ নভেম্বর) সকালে অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষকের পদত্যাগ চেয়ে মানববন্ধনের আয়োজন করে বিদ্যালয়ের অর্ধশত শিক্ষার্থী। এ সময় সাংবাদিকরা সংবাদ সংগ্রহ করতে গেলে প্রধান শিক্ষকের পক্ষে থাকা কিছু শিক্ষার্থী তাদের বাধা দেয়। পরে সালথা থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে সাংবাদিকদের উদ্ধার করে।

বিদ্যালয়ের শিক্ষক, অভিভাবক ও শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, রবিবার (১৭ নভেম্বর) ফুলবাড়িয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির দুই শিক্ষার্থীকে বিদ্যালয়ের দ্বিতীয় তলার সিঁড়িতে আপত্তিকর অবস্থায় দেখে ফেলেন বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মো. হাসানুজ্জামান। তাকে দেখে ঘটনাস্থল থেকে ছেলেটি দ্রুত দৌড়ে পালিয়ে যায় এবং মেয়েটিকে প্রধান শিক্ষক এ কে এম মহিউদ্দিন (৫৪)-এর জিম্মায় তার অফিস রুমে রাখা হলে আনুমানিক ৫-৭ মিনিট পর কান্নাজড়িত অবস্থায় প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির অভিযোগ এনে রুম থেকে বেরিয়ে আসে। পরবর্তীতে বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক সমীর কুমার কর (৪৪) মেয়েটিকে বাড়ি পৌঁছে দেন।

এ বিষয়ে বিদ্যালয়ের এক শিক্ষিকা বলেন, “ওই ছাত্রী প্রধান শিক্ষকের রুম থেকে কান্নাজড়িত কণ্ঠে বের হয়ে আমাকে বলে, ‘স্যার আমার সঙ্গে খুব খারাপ আচরণ করেছে। জোরপূর্বক আমার শরীরে হাত দিয়েছে।’”

এ ব্যাপারে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর বাবার মুঠোফোনে একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি। অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক এ কে এম মহিউদ্দিনের সঙ্গে কথা বলতে চাইলে তিনি কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি। ফরিদপুরের সহকারী পুলিশ সুপার (সার্কেল, নগরকান্দা) আসাদুজ্জামান শাকিল বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, “ঘটনার খবর শুনে পুলিশ সাংবাদিকদের উদ্ধার করেছে। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।”

Comments (0)
Add Comment