শরীয়তপুরের জাজিরায় বোমার আঘাতে সৈকত সরদার (১৮) নামে আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে। শনিবার (২৭ এপ্রিল) দুপুরে ঢাকার একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায় সৈকত। এর আগে গত ২৮ মার্চ একই এলাকার সজিব মুন্সি (২৫) নামে আরেক যুবক বোমের আঘাতে মারা যায়। নিহত সৈকত বিলাসপুরের মুলাই বেপারী কান্দির মৃত কাশেম সরদারের ছেলে।
জানা গেছে, উপজেলার বিলাসপুরে দীর্ঘদিন ধরে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে বর্তমান চেয়ারম্যান কুদ্দুস বেপারী ও পরাজিত চেয়ারম্যান প্রার্থী জলিল মাদবর সমর্থকদের মধ্যে দ্বন্দ্ব চলে আসছিলো। এর আগেও একাধিকবার সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে ওই ইউনিয়নে।
সবশেষ জলিল মাদবর পন্থী সজিব মুন্সির মৃত্যুর ঘটনায় কুদ্দুসসহ তার অনুসারীরা পলাতক ছিলেন। এসময় কুদ্দুস পন্থীদের বাড়িঘরে ভাঙচুর ও লুটপাট চালায় জলিল পন্থীরা। সবশেষ আদালত থেকে জামিনে বের হয় কুদ্দুস ও তার সমর্থকেরা। জামিনে বের হওয়ার পর কুদ্দুস পন্থীরা বাড়িতে এলে সবশেষ গত ২৪ এপ্রিল দুপক্ষই পুনরায় আবার সংঘর্ষে জড়ায়। এসময় উভয়পক্ষের বেশ কয়েকজন আহত হয়। এরমধ্যে গতকাল সন্ধ্যায় মারা যায় সৈকত।
এনিয়ে আধিপত্য বিস্তারের ঘটনায় একই এলাকার দু’জন বোমের আঘাতে মারা গেলো। এদিকে সজিব ও সৈকতের মৃত্যুর ঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়ার পাশাপাশি নেমে এসেছে আতঙ্কও। পুরুষ শূন্য হয়ে পড়েছে পুরো এলাকা। ঘটনার পর কুদ্দুস ও জলিল উভয়ই পলাতক রয়েছেন।
ধারাবাহিক মারামারি ও বোমের আঘাতে দুজন নিহত হওয়ার ঘটনা সম্পর্কে জাজিরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি হাফিজুর রহমান মুঠোফোনে জানান, পরিস্থিতি এখন আমাদের নিয়ন্ত্রণে। এরা পালিয়ে পালিয়ে বেড়ায়, হটাৎ করেই সংঘর্ষে জড়ায়, আবার পালিয়ে যায়। সৈকত মৃত্যুর ঘটনা জেনেছি, তবে এখনো আমরা কোনো অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে মামলা নেয়া হবে।