গোপালগঞ্জে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সমাবেশকে কেন্দ্র করে সৃষ্ট হামলা ও সংঘর্ষে অন্তত দুজন নিহত হয়েছেন। হাসপাতাল ও নিহতদের পরিবার সূত্র বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
নিহতরা হলেন গোপালগঞ্জ শহরের উদয়ন রোডের বাসিন্দা দীপ্ত সাহা (২৫) এবং কোটালীপাড়ার রমজান কাজী (১৮)।
বুধবার বিকেলে গোপালগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক জীবিতেষ বিশ্বাস জানান, হাসপাতালে তিনজনকে মৃত অবস্থায় আনা হয়েছে এবং তারা সবাই গুলিবিদ্ধ ছিলেন। হাসপাতালের একটি সূত্র জানিয়েছে, তৃতীয় ব্যক্তির লাশ স্বজনেরা নিয়ে গেছেন।
তত্ত্বাবধায়ক আরও জানান, গুলিবিদ্ধ অবস্থায় আরও ৯ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে এবং তাদের চিকিৎসা চলছে।
এ বিষয়ে গোপালগঞ্জের পুলিশ সুপার (এসপি) ও জেলা প্রশাসকের (ডিসি) সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তারা কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।
হাসপাতালে নিহত দীপ্ত সাহার চাচা জানান, দুপুরে খাবার খেয়ে দোকানে যাওয়ার পথে শহরের চৌরঙ্গী এলাকায় দীপ্ত পেটে গুলিবিদ্ধ হন। নিহত রমজান কাজীর বাবা কামরুল কাজী আহাজারি করে বলেন, “আমার ছেলে কোনো দোষ করেনি, তাকে কেন মেরে ফেলা হলো?”
এর আগে দুপুরে গোপালগঞ্জ পৌর পার্কে এনসিপির সমাবেশ শেষে নেতাকর্মীদের ওপর হামলার ঘটনা ঘটে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সমাবেশ শেষ হওয়ার সাথে সাথেই একদল লোক লাঠিসোঁটা নিয়ে হামলা চালায়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ ও সেনাবাহিনী সাউন্ড গ্রেনেড ও ফাঁকা গুলি ছোড়ে।
এনসিপির মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী অভিযোগ করেছেন, আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা এই হামলা চালিয়েছে এবং এ সময় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী নিষ্ক্রিয় ছিল।
সমাবেশ শুরুর আগেও মঞ্চে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছিল। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে শহরে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে।