নিউজ ডেস্ক:
শেখ সালমান বয়স ৪৫, পিতা মৃত আব্দুল মান্নান শেখ, সাং মহাদেবপুর থানা শিবালয়, জেলা মানিকগঞ্জ। বর্তমান গাজীপুর মহানগরের গাছা থানাধীন পলাগাছ কালাম মুন্সির মেয়ের জামাই। কোরআান ও মহানবীকে কটুক্তিকারী তাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
স্থানীদের অভিযোগ, গাছা থানাধীন সাইনবোর্ড কামারজুরী স্কুল রোডস্থ মেসার্স মোয়াজ্জেম এন্টারপ্রাইজ পশু-পাখী বিক্রির দোকানদার তিনি। স্থানীয় মেয়ের জামাই হওয়ায় তিনি নিজেকে খুব প্রভাবশালী মনে করেন। আশে পাশের দোকানদার এমন কি শশুর বাড়ীর লোকজন ও তাকে দেখতে পারে না। কারন তার কথা বার্তার কোন শালীনতা নেই। যখন তখন যাকে তাকে যাতা বলে বেড়ায়। এক মাদ্রাসা শিক্ষকের কাস্টমারের কাছে তিনি একটি পাখির খাচা বিক্রি করেন। পরবর্তীতে তার সাথে দেখা হয় নিকটবর্তী মসজিদে। সে ক্রেতার কাছে আরো টাকা দাবি করেন।
ক্রেতা জানান, আমিতো টাকা দিয়েছি আবার কেন। একপর্যায় প্রায় অর্ধ উলঙ্গ হয়ে মসজিদের, বারান্দায় উঠে পরেন, অশালিন আচরণ করেন দাড়ীওয়ালা হুজুর মুন্সিরা খুব জঘন্ন। এমন কি আমাদের নবী নিয়েও ফাসেকি কথাবার্তা বলেন। ক্রেতা আব্দুর রহিম ফরাজি জানান, কথা প্রসঙ্গে সে আমাকে বলেন, তোদের নবী …. খেয়ে মক্কা থেকে মদিনায় গিয়ে পালিয়েছিল! তোরা আর কত ভালো হবি? তোদের কোরআনের কথা মিথ্যা হতে পাড়ে! আমার কোন কথা মিথ্যা নয় ! আরো বলেন, তোদের নবী ফুসলীয়ে ১৪/১৫ টা বিয়ে করেছেন, আমরা করলে দোষ কোথায়?
লোকজন ঝগড়া দেখে কাছে গেলে তাদের সামনে আবার এই কথা গুলো বলে একপর্যায় লোক জন ক্ষীপ্তহলে সে দোকানে চলে যায়। পরবর্তীতে সেই ক্রেতা, সালমান এর দোকানে গিয়ে জানতে চাইলে আরো কিসের টাকা চাইছেন, তখন সালমান আবারো ক্ষীপ্ত হয়ে, দোকানে থাকা কাস্টমার রনিসহ আরো কিছু লোকজনের উপস্থিতিতেই আবার এই কথা গুলো বলে। পরে এলাকার লোকজন বিষয়টি স্থানীয় কাউন্সিলর কে জানালে তিনি বিষয়টি পুলিশকে জানান।
বিষয়টি জানতে পেরে গাছা থানার টহল পুলিশের এস আই রাশেদ ও তদন্ত ওসি মোহাম্মদ মালেক খসরু খান, ঘটনাস্থলে উপস্থিত হলে মুসলিম জনতাকে বিচারের আশ্বাস দিয়ে সালমান কে থানায় নিয়ে আসেন। থানায় এসে পুলিশ মসজিদের ইমাম ঢেকে সালমানকে তওবা পরাতে চাইলে, সালমান বিভিন্ন সাংবাদিক ও জনতার সামনে সে অস্বীকৃতি জানান। পরে এলাকার ধর্মপ্রান লোকজনসহ থানায় এসে ক্রেতা আব্দুর রহিম ফরাজি বাদি হয়ে একটি অভিযোগ দায়ের করেন ।
এ বিষয়ে গাছা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি ইসমাইল হোসেন জানান, কোন ধর্মের উস্কানীমূলক বক্তব্যকে ছাড় দেওয়া হবেনা, আমি চাইবো রাষ্টের সর্বোচ্চ রায় যেন হয়।এ বিষয়ে মামলা প্রক্রিয়াধীন আছে।