ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও ‘এনা’ পরিবহনের মালিক খন্দকার এনায়েত উল্লাহ এবং তাঁর স্ত্রী-সন্তানদের নামে থাকা ১৮২টি গাড়ি জব্দের আদেশ দিয়েছেন আদালত। দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা মহানগরের জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ মো. জাকির হোসেন রোববার (৪ মে) এ আদেশ দেন।
দুদকের তথ্যমতে, খন্দকার এনায়েত উল্লাহ, তাঁর স্ত্রী নার্গিস সামসাদ, ছেলে রিদওয়ানুল আশিক ও মেয়ে চামশে জাহানের নামে ১৮২টি গাড়ির নিবন্ধন রয়েছে। এ মালিকানার ভিত্তিতে দুদক আদালতকে জানায়, গাড়িগুলো হস্তান্তর করে বিদেশে পালানোর আশঙ্কা রয়েছে, তাই সেগুলো জব্দ করা জরুরি।
এ বিষয়ে আদালত শুনানি শেষে গাড়িগুলো জব্দের নির্দেশ দেন।
এর আগে গত ২৬ ফেব্রুয়ারি খন্দকার এনায়েত উল্লাহ ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা দেন আদালত। তিনি বর্তমানে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সহসভাপতির দায়িত্বে রয়েছেন।
দুদকের পক্ষ থেকে জানানো হয়, বিভিন্ন রুটে চলাচলকারী বাস থেকে খন্দকার এনায়েত উল্লাহ দৈনিক প্রায় ১ কোটি ৬৫ লাখ টাকা চাঁদা আদায় করতেন বলে অভিযোগ রয়েছে। সেই অভিযোগের অনুসন্ধান চলছে।
এ ছাড়া দুদক জানিয়েছে, খন্দকার এনায়েত উল্লাহ ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের নামে অবৈধ আয়ে কৃষিজমি, ফ্ল্যাট, প্লটসহ বিপুল সম্পদ অর্জনের তথ্য মিলেছে। তাঁদের নামে বিপুল পরিমাণ অস্থাবর সম্পদ থাকারও প্রমাণ পেয়েছে সংস্থাটি।
এর আগেও, ২০২১ সালের ১৪ জুন দুদক তাঁকে সম্পদের হিসাব চেয়ে নোটিশ দেয়। সেই নোটিশে তাঁর এবং তাঁর ওপর নির্ভরশীল ব্যক্তিদের নামে-বেনামে অর্জিত স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তির বিবরণ, দায়দেনা ও আয়ের উৎস কমিশনে জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল।