২০০৯ সালের পিলখানায় বিডিআর বিদ্রোহের ঘটনায় দায়ের হওয়া বিস্ফোরক আইনের মামলায় জামিনে মুক্তি পেয়েছেন আরও ৪১ জন সাবেক বিডিআর সদস্য।
বৃহস্পতিবার (২৩ জানুয়ারি) দুপুরে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার (কেরানীগঞ্জ) থেকে এই ৪১ জন মুক্তি পান। ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের জেলার এ কে এম মাসুদ জানান, আরও দুইজন কিছুক্ষণের মধ্যেই মুক্তি পাবেন। এ নিয়ে কেরানীগঞ্জ কারাগার থেকে মোট ৪৩ জনের মুক্তি প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে। এর আগে, গাজীপুরের কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে ১২৬ জন মুক্তি পেয়েছিলেন।
কেরানীগঞ্জ কারাগারে স্থাপিত অস্থায়ী আদালতে গত ১৯ জানুয়ারি বিস্ফোরক মামলার জামিন শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। শুনানি শেষে আদালত আদেশ দেন, যেসব আসামি হত্যা মামলায় বিচারিক আদালত বা হাইকোর্ট থেকে খালাস পেয়েছেন এবং তাদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষ আপিল করেনি, তাদের জামিন মঞ্জুর করা হবে।
২০০৯ সালের পিলখানা বিদ্রোহের ঘটনায় দুটি ফৌজদারি মামলা দায়ের হয়—একটি হত্যা মামলা এবং অপরটি বিস্ফোরক আইনের মামলা।
হত্যা মামলায় ২০১৩ সালের ৫ নভেম্বর বিচার শেষ হয়। এতে ১৫২ জনের ফাঁসি, ১৬০ জনের যাবজ্জীবন এবং ২৫৬ জনের বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেওয়া হয়। ২৭৮ জন খালাস পান। ২০১৭ সালের ২৭ নভেম্বর এই মামলায় হাইকোর্ট আপিলের রায় প্রদান করে।
বিস্ফোরক মামলায় ৮৩৪ জন আসামি ছিলেন। ২০১০ সালে এর বিচার কার্যক্রম শুরু হলেও রাষ্ট্রপক্ষ শুধুমাত্র হত্যা মামলার সাক্ষ্য উপস্থাপন করে। এক পর্যায়ে বিস্ফোরক মামলার বিচার কার্যক্রম স্থগিত হয়ে যায়, যার ফলে এ মামলার বিচারকাজ শেষ হতে বিলম্ব হয়।
পিলখানা বিদ্রোহের ঘটনায় অভিযুক্তদের দীর্ঘদিন কারাগারে থাকার পর মুক্তির এই প্রক্রিয়া সংশ্লিষ্টদের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়। বিচার প্রক্রিয়ার দীর্ঘায়িত হওয়া নিয়ে সমালোচনা থাকলেও আসামিদের জামিনের মাধ্যমে একটি সুনির্দিষ্ট সমাধানের পথে এগিয়ে যাচ্ছে রাষ্ট্র।