কুমিল্লার চান্দিনায় একাধিক মামলার আসামি যুবলীগ নেতা তানভীর আহমেদ ভূঁইয়াকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। এক অন্তঃসত্ত্বা গৃহবধূর দাবি, তাকে ধর্ষণের চেষ্টা কালে তার স্বামী তানভীরকে পিটিয়ে হত্যা করেছে।
এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য গৃহবধূর স্বামী সেলিম মিয়াকে আটক করেছে পুলিশ।
মঙ্গলবার (৪ জুন) দিবাগত মধ্য রাতে চান্দিনা উপজেলার বাড়েরা ইউনিয়নের গড়ামারা গ্রামের আক্কাস আলীর বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। বুধবার (৫ জুন) সকালে নিহত তানভীরের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
নিহত তানভীর আহমেদ ভূঁইয়া একই ইউনিয়নের গনিপুর গ্রামের বাবুল ভূইয়ার ছেলে। সে বাড়েরা ইউনিয়ন যুবলীগ কমিটির সহসভাপতি।
চান্দিনা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) সুজন দত্ত বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
জানা গেছে, গড়ামারা গ্রাম থেকে তানভীরের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। ঘটনাস্থল এলাকাটি খুবই ঘনবসতিপূর্ণ। এ হত্যাকাণ্ড নিয়ে স্থানীয় কেউ কিছুই জানে না বলে জানায়। নিহত যুবলীগ নেতার বিরুদ্ধে অস্ত্র মামলাসহ একাধিক মামলা রয়েছে।
রাবেয়া নামে অন্তঃসত্ত্বা গৃহবধূ বলেন, রাত ২টায় তানভীর আমার ঘরে ঢুকে জোরপূর্বক আমাকে ধর্ষণের চেষ্টা করে। এ সময় আমার স্বামীর সঙ্গে ধস্তাধস্তি ও মারধরের ঘটনা ঘটে। আমার স্বামী তানভীরকে মারধর করলে তানভীর অচেতন হয়ে পড়ে যায়। একপর্যায়ে তার মৃত্যু হয়।
নিহত তানভীরের মা নিলুফা বেগম জানান, আমার ছেলেকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। ওই মহিলা যা বলছেন তা মোটেও সত্য না। আমি এ হত্যাকাণ্ডের বিচার চাই।
বাড়েরা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আহসান হাবিব ভূঁইয়া বলেন, আমিও ঘটনাস্থলে গেছি, হত্যাকাণ্ডটি সন্দেহজনক। ঘটনাস্থলটি এতই ঘনবসতিপূর্ণ, ওই বাড়িতে কোনো উঠান নেই। বাড়ির বা পাশাপাশি মানুষ ঘটনাটি জানবে না সেটা হতে পারে না। স্থানীয় কোনো মানুষ মুখ খুলছে না।
এসআই সুজন দত্ত বলেন, নিহত তানভীরের শরীরে আঘাতের চিহ্ন ও পায়ে কাটা চিহ্ন আছে। তবে কী কারণে হত্যা করেছে এ বিষয়ে এখনও কোনো সুনির্দিষ্ট তথ্য উদঘাটন করতে পারিনি। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সেলিমকে থানায় আনা হয়েছে। তদন্তের পর বিস্তারিত জানানো যাবে।