বিশ্বে যুদ্ধে ক্ষতির শিকার রেকর্ডসংখ্যক শিশু

জাতিসংঘের শিশুবিষয়ক সংস্থা ইউনিসেফ জানিয়েছে, ২০২৪ সাল ছিল শিশুদের জন্য সবচেয়ে খারাপ বছর। গাজা, ইউক্রেনসহ বিশ্বের বিভিন্ন যুদ্ধবিধ্বস্ত অঞ্চলে হাজার হাজার শিশু প্রাণ হারিয়েছে। এদের মধ্যে অনেকেই অপুষ্টিতে ভুগছে, স্কুলে যেতে পারছে না এবং প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্যসেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।

শনিবার এক বিবৃতিতে ইউনিসেফ জানায়, বর্তমানে রেকর্ডসংখ্যক শিশু যুদ্ধ আক্রান্ত এলাকায় বাস করছে বা বাস্তুচ্যুত হয়েছে। অতীতে কখনো এত বেশি সংখ্যক শিশু ক্ষতির শিকার হয়নি।

বিশ্বব্যাপী যুদ্ধের প্রভাব
ইউনিসেফের তথ্যমতে, বর্তমানে ৪৭৩ মিলিয়নের বেশি শিশু যুদ্ধ আক্রান্ত এলাকায় বাস করছে। অর্থাৎ, প্রতি ছয়জনে একজন শিশু এমন পরিবেশে জীবনযাপন করছে যেখানে তাদের জীবন, শিক্ষা এবং মৌলিক অধিকার হুমকির মুখে।

ইউনিসেফের নির্বাহী পরিচালক ক্যাথেরিনা রাসেল বলেন, “যেকোনো হিসেবেই বলা যায়, ২০২৪ সাল ছিল ইউনিসেফের ইতিহাসে শিশুদের জন্য সবচেয়ে খারাপ বছর। যুদ্ধবিধ্বস্ত এলাকার শিশুরা প্রতিদিন নানাভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে, যার ফলে তাদের শৈশব হারিয়ে যাচ্ছে।”

গাজা: ইসরায়েলের হামলায় হাজার হাজার ফিলিস্তিনি শিশু নিহত হয়েছে।
ইউক্রেন: চলতি বছরের প্রথম নয় মাসে ২০২৩ সালের তুলনায় বেশি শিশু হতাহতের শিকার হয়েছে।
হাইতি: শিশুদের উপর যৌন নিপীড়নের ঘটনা ১,০০০ গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে।
দক্ষিণ সুদান: এক বছরের বেশি সময় ধরে বিশাল সংখ্যক শিশু স্কুলে যেতে পারছে না।

ইউনিসেফের মতে, যুদ্ধ ও সংঘাতে শিশুরা সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হয়। তাদের নিরাপত্তা, শিক্ষা এবং স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিতে বিশ্ব সম্প্রদায়ের জরুরি পদক্ষেপ প্রয়োজন।

Comments (0)
Add Comment