বরিশালের আগৈলঝাড়ায় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ভর্তি ডেঙ্গু রোগীকে বলৎকারের অভিযোগ উঠেছে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ডা. নাজমুল হোসাইনের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ধামাচাপ দেওয়ার জন্য অসুস্থ ডেঙ্গু রোগীকে ৩০ জুলাই ছাড়পত্রদিয়ে বাড়ি পাঠিয়ে দিয়েছে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কতৃপক্ষ।
স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ভর্তি রোগী সূত্রে জানা গেছে, বরিশালের আগৈলঝাড়া উপজেলার ৫০ শয্যা সরকারী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত হয়ে ২৫ জুলাই ডেঙ্গু পুরুষ ওয়ার্ডে ৩২, ৩৩ ও ৩৪নং বেডে পুরুষ রোগী ভর্তি হয়। তারা সকলেই কলেজ পড়-য়া ছাত্র, তাদের বয়স ২৩ থেকে ২৪ বছরে ভিতরে। ২৭ জুলাই রাতে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. নাজমুল হোসাইন ৩২, ৩৩ ও ৩৪নং বেডের রোগীকে এক এক করে তার কক্ষে ডেকে নিয়ে বলৎকার করেন। এঘটনার পর থেকে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্মকর্তা, কর্মচারী ও রোগীদের মাঝে চলছে কানাকারি। ঘটনাটি ধামাচাপা দেওয়ার জন্য অসুস্থ রোগীকে ৩০ জুলাই বিকেলে ছাড়পত্র দিয়ে দেওয়ারও অভিযোগ উঠে স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা.বখতিয়ার আল-মামুন বিরুদ্ধে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুকসর্থে ভুক্তভোগি রোগিরা বলে, ডা. নাজমুল হোসাইন স্যার রাতে আমাদের ডেকে তার রুমে নিয়ে আমাদের সাথে নোংরা কাজ করে। আমরা বিষটি উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা.বখতিয়ার আল-মামুন স্যারকে মৌখিক ভাবে বলেছি। সে আমাদের কাছে লিখিত চেয়েছে। আমরা ডাক্তারে বিরুদ্ধে অভিযোগ করাতে আমাদের নাম কেটে ছারপত্রদিয়ে বাড়ি পাঠিয়ে দিয়েছে।
এব্যাপারে অভিযুক্ত ডা.নাজমুল হোসাইনের বলেন, ওই রোগী আমাকে তার শারীরিক সমস্যার কথা বলে। আমি তার শারীরিক সমস্যা চিকিৎসা করেছি। আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ তুলেছে তা সম্পুর্ণ মিথ্যা।
এব্যাপারে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা.বখতিয়ার আল-মামুন সাংবাদিকদের বলেন, বিষয়টি আমি মৌখিক ভাবে জানতে পেরেছি। এ ব্যাপারে রোগীরা লিখিত অভিযোগ দিলে আমি সিভিল সার্জন এর সাথে কথাবলে ডাক্তারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিবো। বরিশাল সির্ভিল সার্জন ডা. মারিয়া হাসান সাংবাদিকদের বলেন, ভুক্তভোগীরা লিখিত অভিযোগ দায়ের করলে তার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব। এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো.সাখাওয়াত হোসেন বলেন, ডাক্তার যদি এমন ঘটনা ঘটিয়ে থাকে তা খুবই দুঃখজনক। বিষয়টি আমাকে কেহ জানাইনি। আমি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্মকর্তার কাছে খোঁনিয়ে দেখি কি ব্যবস্থা নেওয়া যায়।