নিউজ ডেস্ক:
গোপালগঞ্জের বিভিন্ন এলাকায় লকডাউনের মধ্যে বাড়তে থাকে চুরির ঘটনা। আর এবার এই চুরির ঘটনা ঘটেছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বশেমুরবিপ্রবি)। বিশ্ববিদ্যালয়টির একুশে ফেব্রুয়ারি লাইব্রেরি থেকে ৯১টি কম্পিউটার চুরি হয়েছে বলে এর রেজিস্ট্রার সূত্রে জানা গেছে।
রেজিস্ট্রার ড. মো. নূরউদ্দিন আহমেদ চুরির ঘটনা উল্লেখ করে জানান, ছুটি শেষে গত রোববার বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্যক্রম শুরু হওয়ার পর বিষয়টি সম্পর্কে কর্তৃপক্ষ অবগত হয়। এ সময় দেখা যায় লাইব্রেরির পেছনের দিকের জানালা ভেঙে কম্পিউটারগুলো চুরি হয়েছে। লাইব্রেরি কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে মোট ৯১টি কম্পিউটার চুরি হয়েছে। এ সময় তিনি আরও জানান, চুরির ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
এ বিষয় বশেমুরবিপ্রবির সহকারী নিরাপত্তা কর্মকর্তা তরিকুল ইসলাম বলেন, আমরা চুরির বিষয়ে জানার পর বিশ্ববিদ্যালয়ের সিসিটিভি ফুটেজ চেক করেছি। সিসিটিভিতে ২৭ জুলাই থেকে ১০ আগস্ট পর্যন্ত ভিডিও ফুটেজ রয়েছে। এ সময়ে কোনো চুরির ঘটনা ঘটেনি। আর এর আগে ২০ তারিখ উপাচার্য (রুটিন দায়িত্ব) লাইব্রেরি পরিদর্শন করেছিলেন। তখনও সকল কম্পিউটার যথাস্থানে ছিল। তাই আমরা ধারণা করছি ২০ থেকে ২৭ তারিখের মধ্যবর্তী সময়ে এই চুরির ঘটনা ঘটেছে।
এ সময় তিনি আরও জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩০ জন গার্ডের মধ্যে ২০ জন ২৩ তারিখ থেকে কোনো নির্দিষ্ট কারণ না জানিয়েই অনুপস্থিত ছিলেন। তাই নিরাপত্তাজনিত কিছুটা সমস্যা ছিল। তবে আমরা চেষ্টা করেছি অবশিষ্ট গার্ড ও আনসারদের সমন্বয়ে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে। প্রসঙ্গত, এর আগে আরও দু’বার বশেমুরবিপ্রবিতে চুরির ঘটনা ঘটে। এর মাঝে একটি ঘটনায় মামলা হলেও কোনো আসামিকে শনাক্ত করা যায়নি।
তদন্তে কমিটি: গোপালগঞ্জে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বশেমুরবিপ্রবি) কম্পিউটার চুরির ঘটনায় ৭ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। সোমবার (১০ আগস্ট) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্টার ড. মো. নূরউদ্দিন আহমেদ সই করা এক অফিস আদেশে এ তথ্য জানানো হয়েছে। আইন অনুষদের ডিন মো. আবদুল কুদ্দুস মিয়াকে সভাপতি ও রেজিস্টার ড. মো. নূরউদ্দিন আহমেদ সদস্যকে সচিব করে এ তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।
কমিটির অন্য ৫ সদস্য হলেন- বিজ্ঞান অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. মো. আবদুর রহিম খান, বিশ্ববিদ্যালয় প্রকৌশলী এস এম এস্কান্দার আলী, প্রক্টর ড. মো. রাজিউর রহমান, ভারপ্রাপ্ত লাইব্রেরিয়ান মো. নাছিরুল ইসলাম ও সহকারী রেজিস্ট্রার মো. নজরুল ইসলাম।
ওই আদেশে জানানো হয়, ঈদুল আজহার ছুটি থাকাকালীন দায়িত্বপ্রাপ্ত গার্ডগণ কেউ কেউ অননুমোদিত ছুটিতে ছিলেন। কেন তারা এমনটি করলেন এ বিষয়টিও তদন্ত করবে কমিটি। একই সঙ্গে সুষ্ঠু তদন্ত করে ৭ (সাত) কর্মদিবসের মধ্যে সুপারিশসহ লিখিত তদন্ত প্রতিবেদন রেজিস্টারের কাছে জমা দিতে বলা হয়েছে।