Dhaka Reader
Nationwide Bangla News Portal

কৃত্রিমভাবে পাকানো কলা খাওয়া কতটা ঝুঁকিপূর্ণ?

কৃত্রিমভাবে পাকানো কলা খাওয়া কিছুটা ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে, বিশেষ করে যদি সেটি রাসায়নিক পদার্থ ব্যবহার করে পাকানো হয়। এমন কলা স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী নাও হতে পারে। এই ধরনের কলা পাকানোর জন্য সাধারণত ক্যালসিয়াম কার্বাইড বা ইথাইলিন ব্যবহার করা হয়। এগুলো কতটা নিরাপদ, তা জানতে কিছু বিষয় জেনে নেওয়া দরকার:

১. ক্যালসিয়াম কার্বাইড ব্যবহারের ক্ষতি:

  • ক্যালসিয়াম কার্বাইড একটি বিষাক্ত রাসায়নিক, যা গরম পানির সঙ্গে মেশালে এসিটিলিন গ্যাস তৈরি করে। এটি ফল পাকানোর জন্য ব্যবহৃত হলেও স্বাস্থ্য ঝুঁকির কারণ হতে পারে।
  • ক্যালসিয়াম কার্বাইডে আর্সেনিক ও ফসফরাসের মতো ক্ষতিকারক উপাদান থাকতে পারে, যা দীর্ঘমেয়াদে স্নায়ুতন্ত্রের ক্ষতি, শ্বাসকষ্ট, ও ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়াতে পারে।
  • কার্বাইড দিয়ে পাকানো কলা খেলে পেটের সমস্যা, মাথাব্যথা, ও বমির মতো সমস্যা হতে পারে।

২. ইথাইলিন ব্যবহারের সুবিধা ও ক্ষতি:

  • ইথাইলিন প্রাকৃতিকভাবে ফল পাকানোর একটি গ্যাস। তবে কৃত্রিমভাবে ব্যবহৃত ইথাইলিন তুলনামূলকভাবে নিরাপদ, কিন্তু এটির অতিরিক্ত ব্যবহার স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে।
  • ইথাইলিন দিয়ে পাকানো কলা দেখতে প্রাকৃতিকভাবে পাকানো কলার মতো হলেও, এতে পুষ্টিগুণ কিছুটা কম হতে পারে।

৩. প্রাকৃতিকভাবে পাকানো কলার পুষ্টিগুণ:

  • প্রাকৃতিকভাবে পাকানো কলা পটাশিয়াম, ভিটামিন বি৬, ভিটামিন সি, এবং ফাইবারের ভালো উৎস। এটি হজমে সাহায্য করে এবং শরীরের পুষ্টির চাহিদা পূরণ করে।
  • রাসায়নিক পদার্থ ছাড়াই ফল যদি স্বাভাবিকভাবে পাকে, তবে এর পুষ্টিগুণ অনেক ভালো থাকে এবং খাওয়ার জন্য নিরাপদ হয়।

কৃত্রিমভাবে রাসায়নিক পদার্থ দিয়ে পাকানো কলা খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে। তাই চেষ্টা করুন, এমন ফল কেনার, যা প্রাকৃতিকভাবে পাকা। রাসায়নিক পদার্থ দিয়ে পাকানো ফল এড়িয়ে চললে স্বাস্থ্য ঝুঁকি কম থাকবে এবং ফলের প্রকৃত পুষ্টিগুণ পাওয়া যাবে।

Leave A Reply

Your email address will not be published.