গাজীপুরের চান্দনা চৌরাস্তা হক মার্কেটে সন্ত্রাসী হামলার অভিযোগ উঠেছে। এ ব্যাপারে গাজীপুর কাঁচামাল আড়ৎদার মালিক গ্রুপের মো. সোবাহান বাসন থানায় একটি অভিযোগ দিয়েছেন। বাসন থানা বিএনপি’র সভাপতি তানভীর সিরাজের ও যুবলীগের নেতা তারিফ মাহমুদের অনুসারীরা এ হামলা চালিয়েছেন বলে অভিযোগ করেছেন ব্যবসায়ীরা।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার (৮ অক্টোবর) বিকেল ৩টার দিকে চান্দনা চৌরাস্তা হক মার্কেটে চান্দনা এলাকার বাসিন্দা মোসাঃ শাহানাজ (৪৫), মোঃ ফেরদৌস (৪৮), মাইকেল শহিদ ওরফে টাকলা শহিদ (৪৫), মোঃ তারিফ (৩৬), মোঃ শাকিল (২৮), ৬। মোঃ শিমুল (৩০), ৭। মোঃ সোহেল (৩২), সর্ব পিতা- মৃত নাছির উদ্দিন নাসু, ৮। মোঃ কুদ্দুস (২৫) সহ ১৫-২০ জনের একটি দল বেআইনি অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে তাদের মার্কেটে প্রবেশ করে।
অভিযোগ অনুযায়ী, তারা মো. সোবাহানকে হত্যার উদ্দেশ্যে খুঁজতে থাকে। সোবাহান উপস্থিত না থাকায় সন্ত্রাসীরা মার্কেটের অফিসে হামলা চালিয়ে প্রায় ১০ হাজার টাকার ক্ষয়ক্ষতি করে। এছাড়াও তারা ধারালো অস্ত্র প্রদর্শন করে মার্কেট দখল করার হুমকি দেয় এবং সাধারণ ব্যবসায়ীদের চলে যাওয়ার নির্দেশ দেয়। অন্যথায়, তাদেরও হত্যা করা হবে বলে হুমকি দেওয়া হয়।
অভিযোগকারী আরও জানান, সন্ত্রাসীদের হাতে থাকা ধারালো অস্ত্রের কারণে সাধারণ ব্যবসায়ী ও এলাকাবাসী ভয়ে আতঙ্কিত হয়ে পড়ে। পরবর্তীতে সংবাদ পেয়ে মো. সোবাহান ঘটনাস্থলে আসলে হামলাকারীরা পুনরায় হামলার হুমকি দিয়ে স্থান ত্যাগ করে।
মো. সোবাহান দাবি করেন, সন্ত্রাসীরা পুনরায় তাদের মার্কেটে হামলা করার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে, ফলে ব্যবসায়ীরা আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছে। সোবাহান এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন এবং দ্রুত আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের আবেদন জানিয়েছেন। এ ঘটনায় স্থানীয় ব্যবসায়ীদের মধ্যে চরম আতঙ্ক বিরাজ করছে।
হামলার ঘটনায় বাজার ব্যবসায়ীরা জানায়, মোঃ তারিফ, শাকিল, সোহেল, কদ্দুসের নামে ছিনতাই, ডাকাতি, চাঁদাবাজী, মাদকসহ ডজনের অধিক মামলা রয়েছে। তাদের উৎপাতে চৌরাস্তাবাসীর মাঝে সর্বদাই আতঙ্কিত থাকে। তারা আরো জানায়, গাজীপুর মহানগরের বাসন থানা বিএনপি’র সভাপতি তানভীর সিরাজের অনুসারী মাইকেল শহিদ এবং তারিফ মাহমুদ বাসন থানা যুবলীগের সভাপতি পদপ্রার্থী ছিলেন। আক্রমণকারীরা বাজারটি অবৈধভাবে দখলে শক্তিবৃদ্ধি করতে বিএনপি নেতা তানভীর সিরাজের দারস্থ হয়েছেন। তারা আরো জানান, বিএনপি নেতা তানভীর সিরাজের শতশত অনুসারী বাজার দখলের এ মিশনে অংশ নেয়। যার সত্যতা বাজার এলাকার বিভিন্ন পয়েন্টে স্থাপিত সিসি ফুটেজ পর্যবেক্ষণে পাওয়া যাবে।
স্থানীয় ব্যবসায়ীদের মধ্যে সন্ত্রাসী কার্যকলাপের কারণে ব্যাপক আতঙ্ক বিরাজ করছে। অভিযুক্তদের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাদের বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।