আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সাবেক সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের ব্যাংক হিসাব স্থগিত করেছে বাংলাদেশ ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ)।
মঙ্গলবার বিএফআইইউ থেকে দেশের বিভিন্ন ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের কাছে এই নির্দেশনা পাঠানো হয়। এই স্থগিতাদেশ ৩০ দিনের জন্য প্রযোজ্য হবে এবং মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইনের আওতায় ব্যাংক লেনদেন স্থগিতের পাশাপাশি তাঁর লকার ব্যবহারের উপরও একই সময়ের জন্য নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে।
বিএফআইইউর চিঠিতে ওবায়দুল কাদেরের জাতীয় পরিচয়পত্রের তথ্যসহ তাঁর পরিবারের সদস্যদের নামও উল্লেখ করা হয়েছে। ব্যাংকগুলোকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে যে, ওবায়দুল কাদেরের নামে থাকা ব্যাংক হিসাবের সব নথি, যেমন কেওয়াইসি ফরম ও লেনদেন বিবরণী, বিএফআইইউতে জমা দিতে হবে।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে ২০১৬ সাল থেকে দায়িত্ব পালন করা ওবায়দুল কাদের ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের আগ পর্যন্ত সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ছিলেন। ছাত্র আন্দোলনের পর থেকে তিনি জনসমক্ষে আর দেখা দেননি।
দেশের সাম্প্রতিক রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর কয়েকজন সাবেক মন্ত্রী গ্রেপ্তার হয়েছেন। একইসঙ্গে বিভিন্ন মন্ত্রী, এমপি এবং আওয়ামী লীগ-ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ীদের ব্যাংক হিসাব স্থগিত করা হয়েছে।