Dhaka Reader
Nationwide Bangla News Portal

আন্দোলনকারীদের পাশে আর্টসেল-চিরকুট-কুঁড়েঘরা

কোটা সংস্কার ও শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার প্রতিবাদে উত্তাল হয়ে উঠেছে গোটা দেশ। আন্দোলনে সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালিয়েছে ছাত্রলীগ। এতে নিন্দার ঝড় বইছে সামাজিক মাধ্যমে। হামলাকারীদের শাস্তিসহ শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার দাবি জানিয়েছেন বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষ।

সোমবার (১৫ জুলাই) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে কোটা আন্দোলনকারী শিক্ষার্থী ও ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের মধ্যে দুপুর থেকে রাত পর্যন্ত দফায় দফায় সংঘর্ষ চলে। এ ঘটনায় শতাধিক শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন। হামলায় আক্রান্ত শিক্ষার্থীদের ছবি-ভিডিও মুহূর্তের মধ্যেই ঝড় তোলে ইন্টারনেট দুনিয়ায়। ছাত্র-ছাত্রীদের গায়ে হাত তোলায় প্রতিবাদে সরব হন তারকারাও। কাপুরুষোচিত এই হামলার নিন্দা জানিয়েছেন চিত্রনায়িকা পরীমণি, ইউটিউবার ও ইনফ্লুয়েন্সার সালমান মুক্তাদির, অভিনেত্রী রুকাইয়া জাহান চমক, ও কনটেন্ট ক্রিয়েটর আরএসফাহিম চৌধুরীসহ আরও অনেকে। এবার কোটা সংস্কারের আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের পাশে দাঁড়িয়েছে ব্যান্ডদল আর্টসেল, কুঁড়েঘর, আবরোভাইরাস ও চিরকুট।

কোটা সংস্কারের মত এই বিষয়কে একটা সমাধানের মাঝে আনতে চায় ব্যান্ড আবরোভাইরাস। সোমবার (১৫ জুলাই) সামাজিক মাধ্যমে ব্যান্ডটির তরফ থেকে লেখা হয়েছে, ‘কোটা সংস্কার এখন সময়ের দাবি।’

শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা প্রসঙ্গে বর্তমান সময়ের জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী ও কুঁড়েঘর ব্যান্ডের ভোকালিস্ট তাসরিফ এক স্ট্যাটাসে লিখেছেন, মানুষ হয়ে মানুষ পেটান সামান্য কী বুক কাপেনা? অধিকার চাইলো যারাতারাই বা কী খুব অচেনা? দলের চেয়ে না দেশটা বড়তাহার চেয়েও বড় মানুষএতই অন্ধ হলামকবে, ফিরবে কবে মোদের হুশ? একটুখানি জিরিয়ে ভাবুনদোহাই একটু আস্তে মারুনভাইয়ের গায়ে বোনের গায়ে আঘাত করতে হাত কাপেনা? মানুষ হয়েই কি লাভ হলো, আজ মানুষ লাগে খুব অচেনা।

শিক্ষার্থীদের ওপর হামলায় তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে এক ফেসবুক স্ট্যাটাসে আর্টসেল লিখেছে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় যা ঘটছে তা মর্মান্তিক ও দুঃখজনক! একটি গণতান্ত্রিক দেশে ন্যায়সঙ্গত দাবি শোনার, আলোচনা করার এবং সম্মত হওয়ার প্রক্রিয়াটি এত জটিল এবং সহিংস হওয়ার কথা নয়। আমরা এর তীব্র প্রতিবাদ জানাই।

এমন সময়ে ব্যান্ড চিরকুট এক ফেসবুক স্ট্যাটাসে মাঠে থাকা তরুণদের প্রতি সমর্থন জানিয়ে লিখেছে, হে তারুণ্য তুমি জমিন আসমানে, তোমার হাতে আশার মশাল বল কে না তা জানে’; তারুণ্য নিজেই এত বড় এক শক্তি যে নদীর স্রোতের মত নিজেই সে তাঁর গতিপথ খুঁজে নেবে। নিজের ভাষা তৈরি করে নেবে সময়ের প্রয়োজনে। গানে গানে সেই ভাষার শক্তি হয়ে ছিলাম, আছি, থাকব সব সময়!

Leave A Reply

Your email address will not be published.