ঘূর্ণিঝড় রিমালের প্রভাবে প্রায় ৮০টি পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির ভৌগলিক এলাকায় ঘূর্ণিঝড় পরবর্তী পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের (আরইবি) বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন গ্রাহক সংখ্যা তিন কোটি তিন লাখ নয় হাজার ৭০২ জন ও ওয়েস্ট জোন পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানির (ওজোপাডিকো) বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন গ্রাহক চার লাখ ৫৩ হাজার ৮১ জন।
বুধবার (৩০ মে) সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত আরইবি দুই কোটি ৮২ লাখ (৯৩%) গ্রাহককে পুনঃসংযোগ দিয়েছে এবং ওজোপাডিকো তিন লাখ ৯৫ হাজার ৫৩১ (৮৭%) জন গ্রাহককে ইতোমধ্যে পুনঃসংযোগ দিয়েছে।
ঘূর্ণিঝড় রিমালের প্রভাবে আরইবি’র বিতরণ ব্যবস্থার পুনঃস্থাপন সংক্রান্ত হালনাগাদ তথ্যে জানা গেছে, বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন গ্রাহক সংখ্যার মধ্যে রিকভারির পরিমাণ দুই কোটি ৮২ লাখ, অবশিষ্ট রয়েছে ২১ লাখ নয় হাজার ৭০২। ৩৩ কেভি ফিডারের ক্ষতি ৭৬৬টি, রিকভারি ৭৬০ ও রিকভারি অবশিষ্ট ৬টি। ৩৩/১১ কেভি উপকেন্দ্র ক্ষতি ১ হাজার ১০৫টি, রিকভারি ১ হাজার ৯৫টি, রিকভারি অবশিষ্ট রয়েছে ১০টি। ১১ কেভি ফিডারের ক্ষতি ৬ হাজার ২৩৫, রিকভারি ৬ হাজার ৬৪, রিকভারি অবশিষ্ট রয়েছে ১৭১।
বৈদ্যুতিক খুঁটির ক্ষতি হয়েছে ৩ হাজার ৮৩৩টি, রিকভারি ৩ হাজার ৫৬৩ ও রিকভারি অবশিষ্ট ২৭০টি। বিতরণ ট্রান্সফরমারের ক্ষতি হয়েছে ২ হাজার ৮১৮টি, রিকভারি ২ হাজার ৪৫৩ ও রিকভারি অবশিষ্ট রয়েছে ৩৬৫।
তার ছেড়া স্প্যান (কি.মি.) ৩ হাজার ৫৬ কি.মি., রিকভারি ২ হাজার ৫৬৩ কি.মি. এবং রিকভারি অবশিষ্ট ৪৯৩ কি.মি,। ইন্সুলেটর ক্ষতি ২৪ হাজার ২৫৮, রিকভারি ২৩ হাজার ৮১৫ ও রিকভারি অবশিষ্ট রয়েছে ৪৪৩। মিটার ক্ষতি ৫৯ হাজার ৩৯৯টি, রিকভারি ৫২ হাজার ৯৯ ও রিকভারি অবশিষ্ট ৭৩ হাজারটি।
প্রাথমিক তথ্য অনুসারে ১০৩ কোটি ৩৩ লাখ টাকার ক্ষয়-ক্ষতি হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাতের মধ্যে ৯৫ ভাগ গ্রাহকদের বিদ্যুৎ সরবরাহ করা সম্ভব হবে।
সমিতির দুর্যোগে আলোর গেরিলা ও আরইবি’র কারিগরি টিমসহ ঠিকাদারদের পর্যাপ্ত সংখ্যক জনবলসহ বর্তমানে প্রায় ২৫ হাজার জনবল মাঠ পর্যায়ে কর্মরত আছে। বাকি গ্রাহকদের সার্ভিস ড্রপ ও মিটার বাড়ি বাড়ি গিয়ে কাজ করতে হবে বিধায় পরবর্তীতে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ওয়েস্ট জোন পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানির (ওজোপাডিকো) মোট গ্রাহক সংখ্যা ১৫ লাখ ৪৮ হাজার ১৫৪। বর্তমান বিদ্যুতায়িত গ্রাহক সংখ্যা ১৪ লাখ ৯০ হাজার ৬০৪। ঝড়ের কারণে বিদ্যুৎবিহীন গ্রাহকের সংখ্যা ৫৭ হাজার ৫৫০। ক্ষতিগ্রস্ত বৈদ্যুতিক লাইনের অবশিষ্টাংশের মেরামত কাজ চলমান আছে।
কর্মকর্তারা বলছেন, বিদ্যুৎ বিভাগের নির্দেশে সংশ্লিষ্ট এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ দ্রুত স্বাভাবিক করার জন্য কাজ চলমান রয়েছে। আশা করা যাচ্ছে অতিসত্বর সম্পূর্ণ লাইন চালু হবে।