রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট হিসেবে পরবর্তী ছয় বছরের জন্য শপথ নিয়েছেন ভ্লাদিমির পুতিন। মঙ্গলবার তিনি ক্রেমলিনে শপথ নেন। এটি তার পঞ্চম শপথগ্রহণ। ইউক্রেন যুদ্ধের জেরে তার শপথ অনুষ্ঠান বয়কট করে যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা কয়েকটি দেশ। খবর রয়টার্সের।
১৯৯৯ সাল থেকেই পুতিন প্রেসিডেন্ট অথবা প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ক্ষমতায় রয়েছেন। ইউক্রেনে সেনা পাঠানোর দুই বছরেরও বেশি সময় পর নতুন করে তার যাত্রা শুরু হলো।
৭১ বছর বয়সী পুতিন দেশীয় রাজনীতিতে আধিপত্য নিয়েই টিকে আছেন। আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে পুতিন পশ্চিমা দেশগুলোর সঙ্গে বিরোধে জড়িয়ে রয়েছেন। তার অভিযোগ, ইউক্রেনের কাঁধে চড়ে পশ্চিমারা রাশিয়াকে ভাঙতে এবং পরাজিত করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
শপথ অনুষ্ঠানের আগে পুতিনের ঘনিষ্ঠ সের্গেই চেমেজভ রয়টার্সকে বলেন, রাশিয়ার জন্য এটি ধারাবাহিকতা, স্থিতিশীলতা- আপনি রাস্তায় যেকোনো নাগরিককে জিজ্ঞেস করতে পারেন।
তিনি বলেন, প্রেসিডেন্ট পুতিন পুনর্নিবাচিত হয়েছেন এবং তিনি নিজের পথে চলবেন। যদিও পশ্চিমাদের সম্ভবত বিষয়টি পছন্দ নয়।
গেল মার্চে পুতিন কঠোর নিয়ন্ত্রিত নির্বাচনে বড় জয় পান। পুতিনের সবচেয়ে বড় প্রতিদ্বন্দ্বী অ্যালেক্সি নাভালনি নির্বাচনের আগে এক কারাগারে মারা যান।
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার সোমবার বলেন, তার শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে আমাদের কোনো প্রতিনিধি থাকবে না। আমরা অবশ্যই সেই নির্বাচনকে অবাধ ও সুষ্ঠু বিবেচনা করিনি। এরপরও তিনি রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট হয়েছেন এবং তিনি ক্ষমতায় থাকছেন।