আসন্ন বিশ্বব্যাংক ও আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) এর বার্ষিক সভায় বাংলাদেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ প্রস্তাব নিয়ে হাজির হচ্ছে। এবারের সভায় বাংলাদেশ সাইড লাইনে দ্বিপক্ষীয় আলোচনার মাধ্যমে বিশ্বব্যাংক ও আইএমএফের প্রতিনিধিদের সঙ্গে একাধিক বৈঠক করবে।
বৈঠকে প্রধানত তিনটি ইস্যু প্রাধান্য পাবে- ১. আইএমএফ থেকে বাড়তি ঋণের প্রতিশ্রুতি: বাংলাদেশ আইএমএফের কাছ থেকে ৩০০ কোটি ডলারের বাড়তি ঋণ নিশ্চিত করতে চায়। ২. পাচারকৃত অর্থের জব্দ: পাচার হওয়া অর্থ সংশ্লিষ্ট দেশগুলোর কাছে জব্দ করা এবং এসব অর্থ ফেরত আনার বিষয়টি গুরুত্ব পাবে। ৩. ক্ষমতাচ্যুত সরকারের দুর্নীতি: ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের জুলাই-আগস্টের গণহত্যা ও ১৫ বছরের লুটপাটের চিত্র তুলে ধরা।
আগামী ২১ থেকে ২৬ অক্টোবর পর্যন্ত ওয়াশিংটনের রাজধানীতে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। এতে বাংলাদেশের পক্ষে অর্থ মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধি, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা অংশ নেবেন।
এর আগে আইএমএফ ২০২৩ সালের ৩০ জানুয়ারি বাংলাদেশের জন্য ৪৭০ কোটি ডলারের ঋণ অনুমোদন করে, যা তিন কিস্তিতে প্রদান করা হয়েছে। বর্তমানে চলমান ঋণ কর্মসূচির আওতায় আরও ৩০০ কোটি ডলার বাড়ানোর প্রস্তাব করা হচ্ছে।
গত আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে দেশ থেকে ব্যাপক অর্থ পাচার হয়েছে। এ বিষয়ে বাংলাদেশ আর্থিক গোয়েন্দা ইউনিট তথ্য সংগ্রহ করছে এবং বৈঠকে সংশ্লিষ্ট দেশগুলোর প্রতিনিধিদের সঙ্গে আলোচনা করবে।
এই বৈঠকের উদ্দেশ্য হল, পাচার হওয়া অর্থ জব্দ করার পাশাপাশি দেশের অর্থনৈতিক সংকট মোকাবিলা এবং সরকারের বিরুদ্ধে চলমান দুর্নীতি বিষয়ক তথ্য উপস্থাপন করা।
অতএব, বাংলাদেশের প্রতিনিধিদল বৈঠকে অংশগ্রহণ করে প্রয়োজনীয় তথ্য ও প্রমাণ উপস্থাপন করবে এবং দেশের বর্তমান পরিস্থিতি তুলে ধরবে।