Dhaka Reader
Nationwide Bangla News Portal

রাণীনগর-আত্রাই উপজেলায় ঝড়ে আড়াই শতাধিক বাড়ি-ঘরের ক্ষতি

নওগাঁর রাণীনগর এবং আত্রাই উপজেলায় কয়েকটি গ্রামে ঝরে আড়াই শতাধিক বাড়ি-ঘরের ব্যপক ক্ষতি হয়েছে। ভেঙ্গে পরেছে শত শত গাছপালা। এতে বিদ্যুতের তারে গাছপালা ভেঙ্গে পড়ায় আত্রাইয়ে ১২০টি এবং রাণীনগরে অন্তত:২০টি স্থানে তার ছিরে গেছে। ভেঙ্গে গেছে কয়েকটি খুঁটি। এতে ঝরের পর থেকে বৃহস্পতিবার দুপুর পর্যন্ত বেশ কিছু এলাকায় বিদ্যু” বিচ্ছিন্ন রয়েছে। বুধবার রাতে ঝর-বৃষ্টিতে এঘটনা ঘটে।

জানা গেছে, বৃহস্পতিবার রাত অনুমান সাড়ে ৮টা নাগাদ ঝর-বৃষ্টি শুরু হয়। এসময় প্রচন্ড বেগে বয়ে যাওয়া ঝরে রাণীনগর উপজেলার উপর দিয়ে ঝর বয়ে যায়। এর কিছু পরেই আত্রাই উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় ঝর-বৃষ্টি শুরু হয়।এতে বিভিন্ন এরাকায় ঝরে বাড়ী-ঘরের ছাউনি, টিনের চালা উড়ে যায়। শত শত গাছপালা উপড়ে এবং ভেঙ্গে পরে যায়। এতে ঝরের সময় থেকেই বিদ্যু’ বিচ্ছিন্ন হয়ে পরে এলাকাগুলো। এছাড়া রাস্তায় গাছপালা ভেঙ্গে-উপরে পরার কারনে চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। পরে ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা স্থানীয়দের সহায়তায় রাস্তা থেকে গাছপালা সরিয়ে চলাচল অস্বাভাবিক করে। তবে বৃহস্পতিবার বিকেল চারটা পর্যন্ত এরির্পোট লেখা পর্যন্ত ঝরের কবলে পড়া এলাকায় স্বাভাবিক হয়নি বলে স্থানীয়রা জানান।

রাণীনগর উপজেলার গোনা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুল খালেক বলেন, তার ইউনিয়নের গোনা, চকবলরাম, ঝিনা, খাজুরিয়া, লক্ষপিুরসহ বেশ কয়েকটি গ্রামে প্রায় ১২০টির মতো বাড়ী ঘরের ছাউনি, টিনের চালা উড়ে ক্ষতি হয়েছে। এছাড়া গাছপালা ভেঙ্গে বিদ্যুতের তারের উপর পরে রাত থেকে এখন পর্যন্ত (বৃহস্পতিবার বিকেল ৪টা) বিদ্যুতহীন রয়েছে গ্রামগুলো। তবে এর সংখ্যা আরো বাড়তে পারে বলে জানান তিনি। এব্যাপারে সরকারী সহায়তা কামনা করেছেন তিনি।আত্রাই উপজেলার বিশা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান তোফাজ্জল হোসেন খাঁন বলেন, রাতে বয়ে যাওয়া ঝর-বৃষ্টিতে তার ইউনিয়নের ভাঙ্গাজাঙ্গাল, বিশা, মোহনঘোষ, উদয়পুরসহ কয়েকটি গ্রামে ব্যপক ক্ষতি হয়েছে। তার ইউনিয়নে দেড় শতাধীক বাড়ী-ঘরের টিনের চালা উড়ে ক্ষতিগ্রস্থ্য হয়েছে। মেম্বার এবং গ্রামপুলিশ দিয়ে তালিকা তৈরির কাজ চলছে।

ভাঙ্গাজাঙ্গাল গ্রামের এসকে রুবেল জানান, ঝরে তার বাড়ী ঘরের টিনের চালা উড়ে গেছে। এছাড়া তার গ্রামে আরো বেশ কয়েকটি ঘর-বাড়ীর ব্যপক ক্ষতি হয়েছে।আত্রাই পল্লীবিদ্যু’ অফিসের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার আব্দুল আলিম বলেন, উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় ঝরে গাছপালা ভেঙ্গে তারের উপর পরে প্রায় ১২০টি স্থানে তার ছিরে গেছে। এছাড়া একটি খুঁটিও ভেঙ্গে গেছে। রাত থেকেই গাছপালা সরিয়ে এবং লাইন মেরামত করে বিদ্যু’ পরিস্থিতী ¯স্বাভাবিক করার প্রাণপন চেষ্টা চলছে।রাণীনগর পল্লীবিদ্যু’ অফিসের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার আকিয়াব হোসেন বলেন, ঝরে রাণীনগর এলাকায় অন্তত: ২০টি স্থানে বিদ্যুতের তার ছিরে গেছে। এছাড়া একটি খুঁটিও ভেঙ্গে গেছে।

আত্রাই উপজেলা ফায়ার সার্ভিস স্টেশন লিডার নেকবর আলী সরকার বলেন, ঝরের কারনে গাছপালা উপরে-ভেঙ্গে রাস্তায় চলাচল বন্ধ হয়ে পরে। এর মধ্যে আত্রাই-সিংড়া রাস্তায় বেশি গাছপালা ভেঙ্গে পরে। রাত ২টা থেকে একটানা সকাল সাড়ে ৯টা পর্যন্ত স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় রাস্তা থেকে গাছ সরিয়ে চলাচল স্বাভাবিক করা হয়েছে। রাণীনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা উম্মে তাবাস্সম এবং আত্রাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সঞ্চিতা বিশ্বাস বলেন, ক্ষতিগ্রস্থ্য পরিবারের তালিকা করতে এলাকার চেয়ারম্যান-মেম্বারদের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। তালিকা পেলে সরকারী সহায়তার জন্য ত্রান ও দূর্যোগ অধিদপ্তরে পাঠানো হবে।

 

Leave A Reply

Your email address will not be published.