Dhaka Reader
Nationwide Bangla News Portal

ফরিদপুরে হেযবুত তওহীদের সদস্যদের ওপর ‘সন্ত্রাসী’ হামলার অভিযোগ, আহত ২

নিজস্ব প্রতিবেদক, ফরিদপুর:
ফরিদপুর জেলা শহরের চরকমলাপুর এলাকায় হেযবুত তওহীদের সদস্যদের ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। রবিবার (২৮ ডিসেম্বর ২০২৫) বিকেলে এই হামলায় সংগঠনের দুইজন সদস্য গুরুতর আহত হয়েছেন। আহতরা বর্তমানে ফরিদপুরের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, রবিবার বিকেল চারটার দিকে ফরিদপুর সদরের রাজবাড়ী রাস্তার মোড় এলাকায় হেযবুত তওহীদের দুই সদস্য মাহিদুর রহমান মৃদুল ও জিহাদ মোল্লা রিকশায় করে সাউন্ড প্লেয়ারের মাধ্যমে সংগঠনের এমাম হোসাইন মোহাম্মদ সেলিমের বক্তব্য প্রচার করছিলেন। এসময় কয়েকজন ধর্মীয় লেবাসধারী ব্যক্তি তাদের পথরোধ করেন এবং বক্তব্য প্রচার বন্ধ করতে বলেন। কোনো অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি এড়াতে তারা তাৎক্ষণিকভাবে প্রচার বন্ধ করে সেখান থেকে চলে যান।

আরও জানা যায়, পরবর্তীতে বিকেল সাড়ে চারটার দিকে ওই দুই সদস্য শহরের চরকমলাপুর এলাকায় পৌঁছালে পুনরায় একদল ব্যক্তি তাদের পথরোধ করে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ শুরু করে। এক পর্যায়ে তাদের উস্কানিতে আরও ১০-১২ জন যুবক দেশীয় অস্ত্রসহ তাদের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে। খবর পেয়ে হেযবুত তওহীদের আরও কয়েকজন কর্মী ঘটনাস্থলে এসে তাদের নিবৃত্ত করার চেষ্টা করলে তারাও আক্রমণের শিকার হন। হামলায় জিহাদ মোল্লা (২৫) ও সুজন শেখ (৩০) নামের দুইজন গুরুতর আহত হন।

এই সন্ত্রাসী হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে হেযবুত তওহীদ। সংগঠনের কেন্দ্রীয় যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল আলম নিক্কন এক বিবৃতিতে বলেন, “কতিপয় লেবাসধারী ধর্মব্যবসায়ীর উস্কানিতে এই পরিকল্পিত হামলা চালানো হয়েছে। হেযবুত তওহীদ একটি শান্তিপ্রিয় ও আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল সংগঠন। আমরা নিয়মতান্ত্রিকভাবে আমাদের প্রচারণা চালাই। আমাদের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে বাধা দেওয়া এবং হামলা করা মূলত মতপ্রকাশের স্বাধীনতায় নগ্ন হস্তক্ষেপ ও চরম অসহিষ্ণুতার বহিঃপ্রকাশ।”

বিবৃতিতে মাহবুবুল আলম নিক্কন আরও বলেন, “কিছু গণমাধ্যমে ঘটনাটিকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার অপচেষ্টা চালানো হচ্ছে। ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাদের ওপর হেযবুত তওহীদের হামলা’ মর্মে যে খবর প্রচার করা হয়েছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট। প্রকৃত তথ্য যাচাই না করে আক্রান্ত ব্যক্তিদেরই হামলাকারী হিসেবে চিহ্নিত করা হলুদ সাংবাদিকতা ও গুরুতর অপরাধ। মূলত এই হামলাকে রাজনৈতিক রূপ দিয়ে উগ্রবাদীরা ফায়দা লুটতে চাইছে।”

ঘটনার বিষয়ে জানতে চাইলে ফরিদপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আজমির হোসেন জানান, বিষয়টি সম্পর্কে তারা অবহিত এবং কোতোয়ালি থানা পুলিশ ঘটনাটি তদন্ত করছে।

ফরিদপুর কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শহিদুল ইসলাম বলেন, “খবর পাওয়ার পরপরই পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। অভিযোগ ও তদন্ত সাপেক্ষে হামলাকারীদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।”

Leave A Reply

Your email address will not be published.