দীর্ঘ দশ বছরের প্রেমের সম্পর্ক বেয়াই এলেম দেওয়ান (৪০) ও বেয়াইন (২৩) এর। শারীরিক সম্পর্কে জড়িয়েছেন বহুবার। কথিত বিয়েও করেছেন তারা। স্বপ্ন ছিলো বাকি জীবন কাটাবেন একই ছাদের নিচে। তবে সে সম্পর্ক অস্বীকার করে হটাৎ গোপালগঞ্জের কোনো এক মেয়েকে বিয়ে করছেন প্রেমিক এলেম। এমন সংবাদ শুনে প্রেমিকের বিয়ে ঠেকাতে প্রেমিকের বাসায় হাজির হন প্রেমিকা, চান স্ত্রীর স্বীকৃতি। প্রেমিকা বাড়িতে আসার সংবাদ পেয়ে লাপাত্তা প্রেমিক এলেম।
ঘটনাটি ঘটেছে শরীয়তপুরের জাজিরা উপজেলার বড় গোপালপুর ইউনিয়ন। অভিযুক্ত এলেম দেওয়ান কান্দির আব্বুর রাজ্জাক দেওয়ানের ছেলে এবং ভুক্তভোগী মেয়েটি এলেমের চাচাতো ভাইয়ের শালী বলে জানা গেছে। সম্পর্কে তারা বেয়াই-বেয়াইন। ওই মেয়েটির দাবি, এলেমের সাথে বিয়েও হয়েছে তার। তবে সেই কাবিননামা রয়েছে বেয়াই এলেমের কাছেই।
জানা গেছে, অভিযুক্ত এলেম দীর্ঘদিন ধরে ঢাকায় প্রাইভেট গাড়ি চালান। মেয়েটি ঢাকায় প্রাইভেট ক্লিনিকে কাজ করতো। দুজন সম্পর্কে বেয়াই বেয়াইন হওয়ায় দুজনের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। কথিত বিয়ে করে দুজন একসাথে ঘরসংসার করেন ঢাকায়। সবশেষ মঙ্গলবার (২ জুলাই) প্রেমিকা (প্রথম স্ত্রী) এর কথা গোপন রেখে গোপালগঞ্জে বিয়ে করতে যাওয়ার কথা প্রেমিক এলেমের।
এমন সংবাদ পেয়ে রোববার (৩১ জুন) রাতেই মেয়েটি প্রেমিক এলেমের বাসায় স্থান নেয়। পরে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানের সহোযোগিতায় মেয়েটিকে বাড়ি থেকে জোর করে নিয়ে যায় মেয়ের স্বজনরা। পরদিন সোমবার মেয়েটি পুনঃরায় পালিয়ে এসে থানায় লিখিত অভিযোগ করে এবং আবারও প্রেমিকের বাড়িতে অনশন নেয়। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে মেয়েটিকে ওই বাড়ি থেকে চলে যেতে বলে এবং পরবর্তী পদক্ষেপ নিবে বলে মেয়েটিকে আস্বস্ত করেন।
মেয়েটির অভিযোগ, এই দশ বছরে নিজের আয়ের সব টাকাপয়সা এলেমকে দিয়েছেন। কাজি ডেকে বিয়েও করেছেন তারা। তবে কাবিননামা এলেম নিজের কাছে রেখেছে। এখন তাকে রেখে আরেকটা বিয়ে করতে যাচ্ছে এলেম।
বিবাহিত হয়েও কেনো অবিবাহিত পরিচয়ে গোপালগঞ্জে বিয়ে করতে যাচ্ছে এলেম এমন প্রশ্ন করলেও কোনো উত্তর দেয়নি এলেমের স্বজনরা। ঘটনার পর থেকে পলাতক রয়েছে এলেম, তাই তার সঙ্গেও যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
এদিকে স্থানীয় কয়েকজন জানান, এলেম এবং ওই নারীর সম্পর্কের কথা আশপাশের প্রায় সবাই জানে। তারা বিবাহিত এটা জানলেও এখন এলেম অস্বীকার করছে। গোপালগঞ্জের কোথায় বিয়ে করতেছে এমন কথা গোপন রেখেছে এলেমের স্বজনরা। তাই এলেম বিবাহিত বিষয়টি পাত্রীপক্ষকে জানানো যাচ্ছে না।
এ বিষয়ে জাজিরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি হাফিজুর রহমান জানান, ভুক্তভোগী আমাদের কাছে একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন। আমরা অভিযোগটি তদন্ত করে দেখছি, অভিযোগ প্রমাণ হলে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।