Dhaka Reader
Nationwide Bangla News Portal

পুলক ঘটকের বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ আমলযোগ্য না হওয়ায় সন্তোষ প্রকাশ

 

সংবাদ বিজ্ঞপ্তি
বাংলাদেশ হিন্দু আইন সংস্কার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক পুলক ঘটকের বিরুদ্ধে আনিত ধর্মীয় অবমাননা ও মানহানীর অভিযোগ আমলযোগ্য না হওয়ায় ঢাকার সাইবার ট্রাইবুনাল মামলাটি সরাসরি খারিজ করে দেওয়ায় সংগঠনের নেতৃবৃন্দ সন্তোষ প্রকাশ করছে।পাশাপাশি এভাবে অহেতুক মামলা বা হুমকির মধ্য দিয়ে নেতৃবৃন্দকে হয়রানির চেষ্টা পরিহার করার জন্য সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি আহ্বান জানানো যাচ্ছে।

সংগঠনের সভাপতি ময়না তালুকদার এবং সাধারণ সম্পাদক পুলক ঘটক যুক্তিনিষ্ঠ বিবেচনায় হিন্দু আইনের লিঙ্গবৈষম্য ও অসঙ্গতিসমূহ নিরসনে সমাজের সকল শ্রেণীপেশার মানুষকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার জন্য আহ্বান জানিয়েছেন।

The Hindu Married Women’s Right to Separate Residence and Maintenance Act, 1946 অনুযায়ী একজন বিবাহিত পুরুষ তার বাসায় রক্ষিতা বা যৌনদাসী রাখলেও তার স্ত্রী সেই স্বামীকে পরিত্যাগ বা ডিভোর্স দিতে পারবে না। এরফলে বিবাহিত নারীদের জীবনকে সম্পূর্ণরূপে স্বামীর অধিনস্ত করা হয়েছে, যা থেকে তার মুক্তি নেই। আইনটি’র ধারা ২ (৬) (“if he keeps a concubine in the house or habitually resides with a concubine”) অনুযায়ী কোনো নারীর স্বামী একই বাড়িতে রক্ষিতা বা যৌনদাসীর সঙ্গে বিহার করলে ঐ নারী শুধুমাত্র আলাদাভাবে বাস করার সুযোগ পাবেন। তবে তাকে ঐ স্বামীর স্ত্রী পরিচয় দিয়েই সতীত্ব বজায় রেখে সারাজীবন একা থাকতে হবে।

শুধু তাই নয়, বৃটিশ আমলে প্রণিত হিন্দু উত্তরাধিকার আইনের বিভিন্ন ধারায় রক্ষিতাদের এবং রক্ষিতার গর্ভজাত সন্তানদের প্রাপ্য অধিকার হরণ করা হয়েছে, যা নিস্পাপ শিশুর প্রতি নিতান্তই অবিচার। যৌনদাসী বা রক্ষিতা রাখা সভ্যতা ও মানবতার পরিপন্থি। তাই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে লেখালেখির মাধ্যমে এরকম আইনের সমালোচনা করে এবং তা পরিবর্তনের দাবি জানিয়ে সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক কোনো ভুল বা অন্যায় করেননি বলে বাংলাদেশ হিন্দু আইন সংস্কার পরিষদ মনে করে। নারী ও লিঙ্গবৈচিত্রময় জনগোষ্ঠী এবং শিশুদের প্রতি বৈষম্য ও অবিচার নিরসনের জন্য অনতিবিলম্বে হিন্দু আইন সংস্কার করার জন্য সরকারের প্রতি দাবি জোর দাবি জানানো হচ্ছে।

Leave A Reply

Your email address will not be published.