লালমনিরহাটের পাটগ্রামে এক গৃহবধুকে মধ্যযুগীয় কায়দায় মারপিট করে রক্তাক্ত জখন করছে পাষন্ড স্বামী, শাশুড়ী ও দেবর। ঘটনাটি ঘটেছে গত শনিবার (৫ আগস্ট) উপজেলার জগতবের ইউনিয়ন এর ভেরভেড়ীর হাট এলাকায়। আহত গৃহবধু রিনা আক্তার (২৭) জগতবের ইউনিয়ন এর লিটন এর স্ত্রী ও উপজেলার জোংড়া ইউপির বুলু মিয়ার মেয়ে।
অভিযুক্তরা হলেন, ভেরভেড়ীরহাট গ্রামের লিটন ইসলাম (৩২)পিতা মতিয়ার রহমান, নুরজাহান (৫০)স্বামী মতিয়ার রহমান, মতিয়া আক্তার (২৮) পিতা মতিয়ার রহমান, আবুল হোসেন (৪২) পিতা অজ্ঞাত, মতিয়ার রহমান পিতা মৃত বাহার ধনী।
জানা গেছে, আহত রিনা আক্তার প্রায় স্বামী, দেবর ও শাশুড়ীর নির্যাতনের শিকার হতেন। বিয়ের পর থেকে প্রায় ৮ বছর ধরে নির্যাতনের শিকার হওয়ার পরও ঘর সংসার করে আসছেন। বাবা গরিব ও কৃষক হওয়ায় সবকিছু মুখ বুজে সহ্য করে সংসার করে আসছিলেন। এরই মধ্য তিনি দুটি সন্তানের জন্ম দেয়। তাদের একজনের বয়স প্রায় ৫ বছর আর একজনের ২ বছর তবু নির্যাতনের বোঝা কমেনি তার উপর থেকে। ঘটনার রিনা আক্তার এর হাত-পায়ে অভিযুক্তরা লাঠিসোটা ও রট দিয়ে মারপিট করেন,এবং গলো টিপে ধরে এমতাবস্থায় রিনা অজ্ঞান হয়ে পরে যায়,পরে স্থানীয় ইউপি সদস্য রব্বু খবর পেয়ে ছুটে আসে এবং জোংড়া ইউনিয়নের ৫ নং ওয়ার্ড এর ইউপি সদস্য বিজয় জানায় পরে বিজয় মেম্বারের মাধ্যমে খবর পেয়ে রিনার বাবা ও ভাই গিয়ে তাকে অজ্ঞান দেখে পাটগ্রাম হাসপাতালে নিয়ে যায়। বর্তামানে রিনা পাটগ্রাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি আছে।
সরেজমিনে হাসপাতালে গেলে, আহত গৃহবধুর শরীরের বিভিন্ন জায়গায় কালশিরা জখম চিহ্ন দেখা গেছে। এছাড়াও গলা টিপে ধরার কারণে সে কথা বলতে পারে না জানা গেছে।
আহতের বাবা বুলু জানান, আমি গরিব হলেও মেয়ের সুখের জন্য নগদ যৌতুকের সব টাকা ও ঘরের সকল আসবাবপত্র দিয়েছি। এরপর ও আমার মেয়েকে ভাত কাপড় দিবে না বলে প্রায় তারা নির্যাতন করেন।স্থানীয়ভাবে কয়েকবার সালিস বৈঠক হওয়ার কিছুদিন পর আবারো নির্যাতন করেন। গরিব মানুষ হওয়ায় বারবার তারা মেয়েসহ আমাদের কে নির্যাতন করে আসছেন। এর উপযুক্ত আমি বিচার চাই।
এব্যাপারে পাটগ্রাম থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ফেরদৌস ওয়াহিদ জানান, এঘটনায় আহতের বাবা বুলু মিয়া থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেন। তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।