উত্তরায় পাঁচ জনসহ রাজধানীতে অন্তত ৮ জনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছে হাসাপাতালগুলো।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ডাকা ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ কর্মসূচি চলাকালে সারাদেশে অন্তত দশ জন নিহতের খবর পাওয়া গেছে। বিবিসি বাংলাকে সংশ্লিষ্ট হাসাপাতালগুলো মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছে।
এর মধ্যে রাজধানী উত্তরায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সাথে শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষে মারা গেছেন পাঁচজন।
বৃহস্পতিবার সংঘর্ষে আহত শতাধিক ব্যক্তিকে কুয়েত বাংলাদেশ মৈত্রী হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়। এদের মধ্যে চারজনের মারা যাওয়ার খবর নিশ্চিত করেন হাসপাতালে তত্ত্বাবধায়ক মিজানুর রহমান। নিহতদের পরিচয় নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
উত্তরার বেসরকারি আধুনিক মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে আরও একজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। জানা গেছে, তিনি বেসরকারি নর্দান ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থী ছিলেন।
হাসপাতালের প্রিন্সিপাল সাব্বির আহমেদ খান বিবিসি বাংলাকে জানান, এই শিক্ষার্থীকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়েছে। পরে তাকে অ্যাম্বুলেন্সে করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়ে দেয়া হয়।
ধানমন্ডি এলাকায় সংঘর্ষে আহত ফারহান ফাইয়াজ নামে রেসিডেন্সিয়াল মডেল কলেজে এক শিক্ষার্থীকে মোহাম্মদপুর সিটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
আন্দোলনকারীদের সাথে পুলিশের সংঘর্ষে রাজধানীর রামপুরায় একজনের মৃত্যু হয়েছে। নিহত ওই ব্যক্তির নাম দুলাল মাদবর বলে নিশ্চিত করেছে বনশ্রীর ফরাজী হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। তিনি পেশায় গাড়ি চালক ছিলেন।
বিকেলের দিকে রাজধানীর আফতাবনগরে আরো এক শিক্ষার্থী নিহতের খবর পাওয়া যায়। একাদশ শ্রেণিতে সদ্য ভর্তি হওয়া এই শিক্ষার্থীর নাম মো. জিল্লুর শেখ। রাজধানীর ঢাকা ইম্পেরিয়াল কলেজের ছাত্র সে। কলেজটির অধ্যক্ষ আরিফ আহমেদ বিবিসি বাংলাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
সংঘর্ষের ঘটনায় সাভারে এক শিক্ষার্থী নিহতের খবর পাওয়া গেছে। সাভারের এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মৃত অবস্থায় এমআইএসটির এক শিক্ষার্থীকে নেয়া হয়।
এ হাসপাতালের ইনচার্জ ইউসুফ আলী বিবিসি বাংলাকে বলেন, “মিলিটারি ইন্সটিটিউট অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজির ইয়ামিন নামে এক শিক্ষার্থীকে মৃত অবস্থায় আনা হয়েছিল। তার গলায় আইডি কার্ড ছিল। তবে সেটা অস্পষ্ট থাকাতে পুরো নাম ভালোভাবে বোঝা যায়নি।”
এর আগে, মাদারীপুরে সংঘর্ষ চলাকালে পানিতে ডুবে একজনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছে ফায়ার ফায়ার সার্ভিস।