Dhaka Reader
Nationwide Bangla News Portal

জন্মব্যাধি কাদা রাস্তা কাঁদাচ্ছে গ্রামবাসিকে

চারঘাট (রাজশাহী) প্রতিনিধি:
রাজশাহী চারঘাট উপজেলার সদরে অবস্থিত ৫ নং চারঘাট ইউনিয়ন পরিষদের প্রাণ কেন্দ্র কাঁকড়ামারী বাজার থেকে পূর্ব দিকে পরানপুর রোড ঈদগাহ মোড় হতে মিলিক গোওরা (৪নং ওয়ার্ড) বীর মুক্তিযোদ্ধা মৃত মুনছুর রহমানের বাড়ী পর্যন্ত, কাচা রাস্তা।

প্রায় এক থেকে দেড় কিলোমিটার রাস্তাটি এ অঞ্চলের মানুষের যাতায়াতের প্রধান রাস্তা। এটি বর্ষায় হাঁটু কাদা ও আর খরায় ধুলোর রাজ্যের সৃষ্টি হয়। বর্ষা মৌসুম আসলে স্কুলগামী শিক্ষার্থীসহ আপামর জনগোষ্ঠী চরম দুর্ভোগের মধ্যদিয়ে এ রাস্তায় যাতায়াত করছে। দীর্ঘদিন ধরে কাচা রাস্তা পাকাকরণের দাবি উঠলেও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের এ নিয়ে তেমন আগ্রহ নেই। ফলে জনগুরুত্বপূর্ণ রাস্তাটি দীর্ঘদিন ধরে অবহেলিত রয়েছে। অবিলম্বে রাস্তাটি পাকাকরণের দাবি জানিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।

সম্প্রতি সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, কাঁকড়ামারী বাজার থেকে পূর্ব দিকে পরানপুর রোড ঈদগাহ মোড় হতে মিলিক গোওরা বীর মুক্তিযোদ্ধা মৃত মুনছুর রহমানের বাড়ী পর্যন্ত, কাচা রাস্তা। রাস্তার অবস্থা কাদায় বেহাল। বর্ষার পানিতে হাঁটু সমান কাদা হয়েছে। কাদার মধ্যে চলতে গিয়ে নাস্তানাবুদ হচ্ছে যাতায়াতকারীরা। রাস্তাটি কাঁকড়ামারী বাজার ও চারঘাট উপজেলার সদরের সঙ্গে সংযুক্ত। উপজেলা সদরের সঙ্গে যোগাযোগের অন্যতম মাধ্যম এই রাস্তাটি। প্রতিদিন শ’শ মানুষ যাতায়াত করছে।

সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগের শিকার হচ্ছে কোমলমতি শিক্ষার্থীরা। মেরামতপুর এরশাদ আলী উচ্চ বিদ্যালয় ও পিরোজপুর ১ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বর্ষা মৌসুম এলে কাদার মধ্যে হাটতে গিয়ে পড়ে গিয়ে বাড়ি ফিরতে হয়। প্রায় শিক্ষার্থীরা স্কুলে যেতে পারে না।

বীর মুক্তিযোদ্ধা মৃত মুনসুর রহমানের ছেলে ও ৪ নং ওয়ার্ডের সাবেক ইউপি সদস্য মোঃ তোতা মিয়া বলেন, মিলিক গোওরা হতে বানেশ্বর চারঘাট ও কাঁকড়ামারী বাজারে কৃষি পণ্য নিয়ে যেতে বিপাকে পড়তে হয়।নিয়মিত যাতায়াতে সীমাহীন দুর্ভোগে পড়তে হচ্ছে। গুরুত্বপূর্ণ রাস্তাটি ভিলেজ পলিটিক্সের কারণে পাকাকরণে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের আগ্রহ কম। গ্রামের অলিগরি অন্যসব রাস্তা পাকা ও সোলিং হলেও এই রাস্তাটি বাকি আছে। বলে জানান তিনি।

স্থানীয় বাসিন্দা মোঃ বাবু মিয়া বলেন, ভোটের সময় নেতারা প্রতিশ্রুতি দেয় রাস্তা করে দেবে। ভোটে জিতে গেলে আর খবর থাকে না। বর্ষা মৌসুমে কাদায় চলাচল করতে খুব কষ্ট হয়।মিলিক গোওরা গ্রামের ছেলে মেয়েদের স্কুলে যেতে বেশি কষ্ট হয়। রাস্তাটি পাকা হলে এলাকার মানুষের দুর্ভোগ শেষ হতো।

স্কুল ছাত্র তুষারের বাবা মোঃ নাজিম উদ্দিন বলেন, বর্ষায় কাদার মধ্যে বইয়ের ব্যাগ ঘাড়ে শিশুদের স্কুলে যেতে খুব কষ্ট হয়। কাদা পানিতে পড়ে অনেকে ভিজে বাড়ি ফিরে যায়। রাস্তাটি মানুষের চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। এ অবস্থা থেকে আমরা পরিত্রাণ চাই।

কাচা রাস্তা সম্পর্কে জানতে চাইলে চারঘাট ৫ নং ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোঃ মোজাম্মেল হক, বলেন,এর আগে রাস্তা টা সোলিং করার জন্য বাজেট এসেছিল সেটা ভুল ক্রমে একই গ্রামেই অন্য একটি রাস্তা করা হয়েছে। ‘আমার আপাতত কোনো পরিকল্পনা নেই। যদি এমপি সাহেব রাস্তাটি পাকা করা হবে বলে মনে করেন তাহলে হবে। আমি মাননীয় মন্ত্রী মহোদয়ের সুদৃষ্টি কামনা করছি।

মুঠোফোনে জানতে চাইলে চারঘাট উপজেলা প্রকৌশলী,এলজিইডি অফিসার জনাব মোঃ মকবুল হোসেন বলেন, উপজেলার সকল গ্রামের অলিগলি রাস্তাঘাট পাকাকরণ করা হয়েছে বা হবে। তবে যে সকল রাস্তা ঘাট এখনো কাচা অবস্থায় রয়েছে সে সকল এলাকার যথাযথ কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে আবেদনপত্র এলজিইডি অফিসে জমা দিতে হবে।

Leave A Reply

Your email address will not be published.