গাজীপুর মহানগরের নাওজোড় এলাকায় চাঁদাবাজীর প্রতিবাদ করায় বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ আঃ হামিদকে মারধর করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এ সময় ভুক্তভোগী মুক্তিযোদ্ধাকে বাঁচাতে গিয়ে চাপাতির কোপে গুরুতর আহত হয়েছেন এক যুবক। এ ঘটনায় আহত ওই যুবক মোঃ সিয়াম আমীন (২৫) বর্তমানে শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
হামলাকারীরা মুক্তিযোদ্ধাসহ দুজনের কাছ থেকে মোট ৮৭,০০০ টাকা ছিনিয়ে নিয়েছে বলেও অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে। এই ঘটনায় ভুক্তভোগী যুবকের বাবা মোঃ নূরুল আমিন সেন্টু বাদী হয়ে পাঁচজনের নাম উল্লেখ করে বাসন থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
অভিযুক্তরা হলেন- মোঃ রবিউল ইসলাম রবি (৩৫), মো. মাহিম (২৮), নূর মোহাম্মদ সিয়াম (২৪), মনসুর আহমেদ (৩০) এবং শফিকুল আহমেদ সাগর (৩২)। তারা সবাই বাসন থানা এলাকার বাসিন্দা।
অভিযোগপত্র সূত্রে জানা যায়, গত ১৯ জুন বিকাল আনুমানিক ৫টার দিকে নাওজোড় এলাকায় ফল বিক্রেতা মুনাফের কাছে চাঁদাদাবী করে করলে বীর মুক্তিযুদ্ধা আব্দুল হামিদ বাঁধা দেন। অভিযুক্তরা আরেক ব্যক্তি মুনাফ আলীকে মারধর শুরু করে। মুক্তিযোদ্ধা হামিদ এর প্রতিবাদ করলে অভিযুক্তরা তাকেও এলোপাতাড়ি কিল-ঘুষি মারে এবং তার পকেট থেকে ২৮,০০০ টাকা ছিনিয়ে নেয়। এ সময় মুক্তিযোদ্ধা হামিদকে রক্ষার জন্য মোঃ নূরুল আমিন সেন্টুর ছেলে সিয়াম আমীন (২৫) এগিয়ে আসেন। তখন অভিযুক্তরা সিয়ামের ওপর চড়াও হয় এবং তাকে হত্যার উদ্দেশ্যে চাপাতি দিয়ে মাথায় কোপ মারে, এতে তার মাথা ফেটে গুরুতর রক্তাক্ত জখম হয়। হামলাকারীরা সিয়ামের পকেটে থাকা নগদ ৫৯,০০০ টাকা, একটি ডিজিটাল ওজন মাপার স্কেল ও অন্যান্য জিনিসপত্রও ছিনিয়ে নেয়।
এদিকে সিয়ামের চিৎকারে এলাকাবাসী এগিয়ে এলে অভিযুক্তরা তাকে প্রাণে মেরে ফেলার এবং মিথ্যা মামলায় ফাঁসানোর হুমকি দিয়ে পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয়রা গুরুতর আহত সিয়ামকে উদ্ধার করে শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে।
অভিযোগে আরও বলা হয়, ঘটনার পর বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ আঃ হামিদ চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি ফিরলে অভিযুক্তরা মোটরসাইকেল নিয়ে পুনরায় তার ওপর হামলার চেষ্টা করে। তিনি দ্রুত বাড়িতে প্রবেশ করে প্রাণে বাঁচেন।
ভুক্তভোগীর বাবা মোঃ নূরুল আমিন সেন্টু এই ন্যক্কারজনক ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে দ্রুত আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য প্রশাসনের কাছে জোর দাবি জানিয়েছেন।