ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে পরিকল্পিত কারচুপি ও প্রহসনের অভিযোগ তুলে ফলাফল প্রত্যাখ্যান করেছেন ছাত্রদল ও স্বতন্ত্র জোটের সহ-সভাপতি (ভিপি) প্রার্থীরা। নির্বাচনে ইসলামী ছাত্রশিবির সমর্থিত প্যানেলের বিজয় স্পষ্ট হতে শুরু করলে মঙ্গলবার (৯ সেপ্টেম্বর) রাতে ও দিবাগত মধ্যরাতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তারা পৃথকভাবে এই ঘোষণা দেন।
‘পরিকল্পিত প্রহসন প্রত্যাখ্যান করলাম’: ছাত্রদলের আবিদুল
ছাত্রদল সমর্থিত প্যানেলের ভিপি প্রার্থী আবিদুল ইসলাম খান মঙ্গলবার রাতে ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে নির্বাচনকে ‘পরিকল্পিত প্রহসন’ আখ্যা দিয়ে ফলাফল প্রত্যাখ্যানের ঘোষণা দেন।
তিনি তার স্ট্যাটাসে লেখেন, “পরিকল্পিত কারচুপির এই ফলাফল দুপুরের পরপরই অনুমান করেছি। নিজেদের মতো করে সংখ্যা বসিয়ে নিন। এই পরিকল্পিত প্রহসন প্রত্যাখ্যান করলাম।”
এর আগে ভোটের দিন সকাল থেকেই ছাত্রদলের পক্ষ থেকে বিভিন্ন কেন্দ্রে অনিয়ম, জালিয়াতি ও কারচুপির অভিযোগ তোলা হচ্ছিল। রাতে ফলাফল প্রকাশ শুরু হলে তাদের আশঙ্কাই সত্যি হচ্ছে বলে ইঙ্গিত দেন আবিদুল ইসলাম।
‘ডাকসু বর্জন করলাম’: স্বতন্ত্র প্রার্থী উমামা ফাতেমা
অন্যদিকে, স্বতন্ত্র শিক্ষার্থী ঐক্য প্যানেলের ভিপি প্রার্থী উমামা ফাতেমা ডাকসু নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দিয়েছেন। মঙ্গলবার দিবাগত রাত সোয়া তিনটার দিকে ফেসবুকে এক পোস্টে তিনি এই ঘোষণা দেন এবং নির্বাচনকে ‘সম্পূর্ণ নির্লজ্জ কারচুপির নির্বাচন’ বলে আখ্যায়িত করেন।
ফেসবুক পোস্টে তিনি লেখেন, “বয়কট! বয়কট! ডাকসু বর্জন করলাম।”
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের তীব্র সমালোচনা করে তিনি আরও লেখেন, “৫ আগস্টের পরে জাতিকে লজ্জা উপহার দিল ঢাবি প্রশাসন। শিবির পালিত প্রশাসন।”
উল্লেখ্য, মঙ্গলবার সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ডাকসু নির্বাচনের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। রাতে ফলাফল ঘোষণা শুরু হলে অধিকাংশ পদে ইসলামী ছাত্রশিবির-সমর্থিত প্যানেলের প্রার্থীদের এগিয়ে থাকতে দেখা যায়। এই পরিস্থিতিতেই প্রতিদ্বন্দ্বী প্রধান প্যানেলগুলো থেকে নির্বাচন প্রত্যাখ্যান ও বর্জনের ঘোষণা আসে।