কাউনিয়ায় স্ত্রীকে কুপিয়ে হত্যার পর স্বামীর আত্মহত্যা
রংপুরের কাউনিয়ায় পারিবারিক কলহের জেরে স্ত্রীকে কুপিয়ে হত্যার পর আত্মহত্যা করেছে স্বামী। গত শুক্রবার দিবাগত রাত দেড়টার দিকে উপজেলার কুর্শা ইউনিয়নের ধর্মেশ্বর মহেশা গ্রামে ড্রাইভার পাড়ায় ঘটনাটি ঘটে। স্বামীর ছুরির আঘাতে নিহত শুভা রাণী (৪৪) রবীন্দ্রনাথের স্ত্রী। স্ত্রীকে হত্যার পর গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন রবীন্দ্রনাথ (৫০)। তিনি ড্রাইভার পাড়ার গৌরাঙ্গ চরণের ছেলে। গতকাল শনিবার সকাল ৯টার দিকে এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কাউনিয়া থানার ওসি মোন্তাছের বিল্লাহ্।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, গভীর রাতে ঘটনার সময় পারিবারিক কলহের জেরে রবীন্দ্রনাথের সাথে স্ত্রী শুভা রাণীর ঝগড়া লাগে। ঝগড়ার এক পর্যায়ে স্বামী রবীন্দ্রনাথ ঘরে থাকা ছুরি দিয়ে স্ত্রীকে এলোপাথাড়ী কোপাতে থাকেন। এ সময় ছুরির আঘাতে গুরুতর জখম হন স্ত্রী শোভা রাণী। তাদের ঝগড়া ও আর্তচিৎকারে ছুটে আসেন রবীন্দ্রনাথের ছোট ভাই চেতনা এবং চাচাতো ভাই গোলাপ চন্দ্রসহ কয়েকজন এলাকাবাসী। তারা রবীন্দ্রনাথের হাতে ধারালো ছুরি দেখে ভয়ে কেউ এগিয়ে আসতে সাহস না পেলেও ভাবিকে বাঁচাতে গিয়ে ভাইয়ের ছুরির আঘাতে ছোট ভাই চেতনা গুরুতর জখম হয়।
কাউনিয়া থানার ওসি মোন্তাছের বিল্লাহ বলেন, ঘটনার বিষয়ে খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে রবীন্দ্রনাথ ও তার স্ত্রীর লাশ উদ্ধার করে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করেছি।
রংপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সি সার্কেল) মোহাম্মদ আবু রায়হান বলেন, ঘটনাস্থলে গিয়ে রবীন্দ্রনাথ ও তার স্ত্রীর লাশ উদ্ধার করা হয়। রবীন্দ্রনাথের গলায় ফাঁস লাগিয়ে ঘাড়ের নীচ দিয়ে গলায় রশি পেচানো ছিল। কিন্তু রবীন্দ্রনাথ আত্মহত্যা করেছেন, না তাকে হত্যা করা হয়েছে এ বিষয়ে পুলিশের সন্দেহ দেখা দিয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে পেলে রবীন্দ্রনাথ আত্মহত্যা করেছে না-কী তাকে হত্যা করা হয়েছে তার কারণ জানা যাবে।