ফিলিস্তিনি ছিটমহল গাজায় বাস্তুচ্যুত লোকজনের আশ্রয়কেন্দ্রে পরিণত হওয়া একটি স্কুলে ইসরায়েলি বিমান হামলায় অন্তত ২০ জন নিহত ও বহু মানুষ আহত হয়েছেন।
সোমবার ভোররাতে গাজা সিটির দারাজ এলাকার ফাহমি আল-জারজাউই স্কুলে এ হামলা চালানো হয়।
গাজার স্বাস্থ্য কর্মীরা রয়টার্সকে জানিয়েছেন, নিহতদের মধ্যে নারী ও শিশুও রয়েছেন।
হামলার পর হতাহতদের কিছু ছবি সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়েছে। সেগুলোতে দেখা গেছে, কিছু মৃতদেহ মারাত্মকভাবে পুড়ে গেছে। কিন্তু এসব ছবির সত্যাসত্য রয়টার্স তাৎক্ষণিকভাবে যাচাই করতে পারেনি।
ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) এ হামলার বিষয়ে তাৎক্ষণিকভাবে কোনো মন্তব্য করেনি।
ত্রাণ সংস্থাগুলো জানিয়েছে, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর গাজা যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে ইসরায়েলি বাহিনী ভূখণ্ডটির প্রায় ৯৫ শতাংশ স্কুল ধ্বংস বা ক্ষতিগ্রস্ত করেছে।
জাতিসংঘের বিশেষজ্ঞরা আল জাজিরাকে বলেছেন, স্কুল ও হাসপাতালের মতো বেসামরিক প্রতিষ্ঠানগুলোতে ইসরায়েলি হামলা যুদ্ধাপরাধ হতে পারে।
মে মাসের শুরু থেকে গাজায় সামরিক অভিযান জোরদার করেছে ইসরায়েল। ইসরায়েল জানিয়েছে ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী হামাসের সামরিক ও শাসন সক্ষমতা নির্মূল করে দিতে চায় তারা আর গাজায় বন্দি থাকা বাকি জিম্মিদের ফিরিয়ে নিতে চায়।
গত সপ্তাহে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেছেন, ইসরায়েল পুরো গাজার নিয়ন্ত্রণ নেবে।
গাজার গণমাধ্যম দপ্তর জানিয়েছে, ইসরায়েল ইতোমধ্যে গাজার প্রায় ৭৭ শতাংশের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নিয়েছে। তাদের স্থল বাহিনীর উপস্থিতির মধ্যদিয়ে, এলাকা ছাড়ার বিভিন্ন আদেশের মাধ্যমে এবং অব্যাহত বোমাবর্ষণ করে গাজার বাসিন্দাদের তাদের বাড়িগুলো থেকে দূরে রেখে এ পরিস্থিতি তৈরি করেছে ইসরায়েল।
প্রায় দেড় বছর ধরে চলা ইসরায়েলি হামলায় গাজা ধ্বংস হয়ে গেছে। এর প্রায় ২৩ লাখ বাসিন্দার প্রায় সবাই বাস্তুচ্যুত হয়েছেন। আর ভূখণ্ডটিতে নিহত ফিলিস্তিনির সংখ্যা ৫৩ হাজার ছাড়িয়ে গেছে।