জয়পুরহাটের আক্কেলপুরের রায়কালী ইউনিয়নে একটি অনলাইন নিউজ পোর্টালে “রায়কালী বাজারে অ্যাডভোকেট ইমন মাহমুদ এর উপর হত্যা ও হামলা অভিযোগ” শিরোনামে প্রকাশিত সংবাদের তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছেন সাবেক অধ্যক্ষ মোজাম্মেল হোসেন চৌধুরী। তার সঙ্গে সুর মিলিয়েছেন অপর ভুক্তভোগী রফিকুল ইসলাম এবং রায়কালী বাজার সমিতির সহ-সভাপতি রেজাউল ইসলাম। গত ২৪ অক্টোবর এই সংবাদ প্রকাশ হয়।
প্রতিবাদলিপিতে আক্কেলপুর থানা দুর্নীতি দমন কমিশনের সদস্য, রায়কালী বাজার বণিক সমিতির উপদেষ্টা ও কালাই ডিগ্রী কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ মোজাম্মেল হোসেন চৌধুরী জানান, তিনি উল্লিখিত ঘটনার সাথে কোনোভাবেই জড়িত ছিলেন না। তিনি দাবি করেন, ২৪ অক্টোবর তিনি রায়কালীতে বা ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন না। তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগকে তিনি “মিথ্যা, বানোয়াট, উদ্দেশ্যপ্রণোদিত এবং ভিত্তিহীন” আখ্যা দিয়েছেন যা তার ও তার পরিবারের সুনাম ক্ষুণ্ন করছে বলে তিনি মনে করেন।
মোজাম্মেল হোসেন চৌধুরী আরও উল্লেখ করেন, তিনি রায়কালী বাজারে মাদক ব্যবসা, চাঁদাবাজি ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে সবসময় সোচ্চার ও প্রতিবাদী ছিলেন। তার এই প্রতিবাদী কার্যক্রম একটি ‘কুচক্রী মহলের’ অসুবিধার কারণ হয়ে দাঁড়ায়। তাকে এই কার্যক্রম থেকে বিরত রাখার জন্য সুপরিকল্পিতভাবে ওই মহলের প্ররোচনায় আইনজীবী ইমন মাহমুদ তার বিরুদ্ধে থানায় এই ‘মিথ্যা বানোয়াট অভিযোগ’ দায়ের করেছেন বলে তিনি অভিযোগ করেন। তিনি জানান, ইতিপূর্বে তিনি কখনো আইনজীবী ইমন মাহমুদকে দেখেননি, তথাপি তার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করা হয়েছে।
এদিকে আরেক ভুক্তভোগী রফিকুল ইসলাম জানান, তিনি বাজার থেকে কাজের উদ্দেশ্যে বাইরে গিয়েছিলেন। ফিরে এসে লোকমুখে শুনতে পান যে বাজারে অ্যাডভোকেট ইমন মাহমুদের সাথে কারো ধাক্কাধাক্কি ও কথা কাটাকাটি হয়েছে। এ বিষয়ে দৈনিক নিউসান নিউজ পোর্টালের সাংবাদিক তার কাছে ঘটনা জানতে চাইলে তিনি কিছুই বলতে পারেননি, অথচ ওই সাংবাদিক তার নামে “মিথ্যা এবং বানোয়াট লেখালেখি” করেন।
এ ঘটনা সম্পর্কে রায়কালী বাজার সমিতির সহ-সভাপতি রেজাউল ইসলাম জানান, বাজারের দোকান বিষয়ে আমরা একটি মিটিং করছিলাম। কিন্তু কার সাথে কি হয়েছে সে সম্পর্কে তিনি কিছুই জানেন না। তিনি আরও দাবি করেন যে এই ঘটনায় যাদেরকে আসামি করে থানায় অভিযোগ করা হয়েছিল, তারা কেউই সে সময় বাজারে উপস্থিত ছিলেন না। অ্যাডভোকেট ইমন মাহমুদ তাদের নামে “মিথ্যা অভিযোগ” করেছেন বলে দাবি করেন তিনি।