মোঃ কামাল হোসেন, বিশেষ প্রতিনিধি:
টানা চার দিন থেমে থেমে হালকা ও ভারি বর্ষনের ফলে পটুয়াখালী জেলার নিন্মাঞ্চল পানির নিচে তলিয়ে গেছে। চরম দূর্ভোগে শিকার কয়েক লাখ পরিবার।
আবহাওয়া অধিদপ্তর সূত্রে জানাজায় গাঙ্গেয় পশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় একটি লঘুচাপ অবস্থান করছে। ফলে উত্তর বঙ্গোপসাগরে বায়ু চাপের তারতম্যের আধিক্য বিরাজ করছে। এতে উত্তর বঙ্গোপসাগর, বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকা, নদী বন্দর সমুহের উপর দিয়ে দমকা/ ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। খুলনা, বরিশাল, পটুয়াখালী, নোয়াখালী, চট্রগ্রাম ও কক্সবাজার অঞ্চল সমূহের উপর দিয়ে দক্ষিন/ দক্ষিন পুর্ব দিক থেকে ঘন্টায় ৪৫-৫০ কিঃমিঃ বেগে অস্থায়ী দমকা / ঝড়ো হাওয়া সহ বৃষ্টি /বজ্রবৃষ্টি হতে পারে। নদী বন্দরগুলো কে সতর্কতা সংকেত দেওয়া হয়েছে।
গত চার দিন যাবত থেমে থেমে ভারি বর্ষনে পটুয়াখালী জেলা শহর প্লাবিত হয়ে যান চলালচলের বিঘ্নসৃষ্টি হচ্ছে। অনেক বাসা বাড়ি ফ্লোর পানির তলে তলিয়ে গেছে।
জেলা শহরের পুরান বাজার, বনানী মোড়, সবুজবাগ, কলাতলা বাজার এলাকা প্লাবিত হয়ে যাওয়ায় চরম দুর্ভোগে জন সাধারন।
জেলার কলাপাড়া, রাঙ্গাবালী উপজেলা বঙ্গোপসাগর এর তীর বর্তী এছাড়া গলাচিপা, দশমিনা, বাউফল, মির্জাগঞ্জ ও দুমকি উপজেলা গুলো নদী বেষ্টিত। সমুদ্রে লগুচাপ এর প্রভাবে টানা বর্ষন ও নদীতে জোয়ারের পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় অবর্ণনীয় দূর্ভোগের শিকার কয়েক লাখ পরিবার।
অনেক এলাকায় ৩দিন যাবৎ বিদ্যুত বিচ্ছিন্ন কোথায় কোথায় যায় আসে ফলে অটোগুলোতে চার্জ দিতে না পারায় যাতায়াতে বিঘ্ন সৃষ্টি হয়েছে। মোবাইলে চার্জ না থাকায় দূরদুরান্তে থাকা পরিবারের লোকজন ও আত্মীয় স্বজন খোঁজখবর নিতেও ব্যার্থ হয়ে দুঃশ্চিন্তায় পরেছেন।
বেশী ভোগান্তিতে পড়েছে কৃষকরা, বৃষ্টির পানি জমে থাকায় আমন ধান বোনার বীজক্ষেত গুলো পানির তলে তলীয় গেছে ফলে বীজ সংকটে পরবে এমন আশংকা তাদের।
বৃষ্টির পানিতে বিস্তীর্ণ এলাকার ফসলি জমি, মাছের ঘের, পুকুর-ডোবা তলিয়ে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা করা হচ্ছে। এছাড়াও ভোগান্তিতে পড়েছেন শিক্ষার্থী, শ্রমজীবী ও কর্মজীবী মানুষ।
টানা বৃষ্টি ও দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কারণে জনজীবন একপ্রকার স্থবির হয়ে পড়েছে। স্থানীয়রা দুর্যোগ মোকাবেলায় জরুরি সহায়তা ও দ্রুত পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন।