শপথ নিয়েই ক্যাপিটল হিলের দেড় সহস্রাধিক দাঙ্গাবাজকে ক্ষমা করলেন ট্রাম্প
যুক্তরাষ্ট্রের ৪৭তম প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেওয়ার পরপরই ডোনাল্ড ট্রাম্প ক্যাপিটল হিল দাঙ্গার ঘটনায় অভিযুক্ত প্রায় ১,৬০০ জনকে ক্ষমা করেছেন। তার এই পদক্ষেপ মার্কিন রাজনীতি ও বিচার ব্যবস্থায় তীব্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করেছে।
বিবিসির প্রতিবেদন অনুযায়ী, ওভাল অফিসে বসার পর প্রথম নির্বাহী আদেশগুলোর মধ্যে একটি ছিল এই ব্যাপক ক্ষমার ঘোষণা। ক্ষমার আওতায় এসেছে এমন অনেক ব্যক্তি, যারা দাঙ্গার সময় পুলিশ কর্মকর্তাদের আক্রমণ, জানালা ভাঙা এবং কংগ্রেসের অফিসে ভাঙচুরের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই অনেককে মুক্তি দেওয়া হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
ডেমোক্রেটিক নেত্রী ন্যান্সি পেলোসি এ সিদ্ধান্তের কড়া সমালোচনা করেছেন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তিনি লিখেছেন, “এই পদক্ষেপ বিচারব্যবস্থা এবং ক্যাপিটল রক্ষায় আত্মত্যাগকারী নায়কদের প্রতি চরম অপমান।”
ট্রাম্পের ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্স আগে ইঙ্গিত দিয়েছিলেন যে অতিরিক্ত সহিংসতার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিরা ক্ষমার আওতায় নাও থাকতে পারে। তবে বাস্তবে দেখা যাচ্ছে, কেবল ১৪ জন হোতা, যারা ‘প্রাউড বয়েজ’ এবং ‘ওথ কিপারস’-এর সদস্য, তারা ক্ষমা পাননি। যদিও তাদের শাস্তি হ্রাস করা হবে এবং তারা দ্রুত মুক্তি পাবেন।
এই ক্ষমার পদক্ষেপের ফলে অনেকেই তাদের সাজা থেকে মুক্তি পাচ্ছেন, এমনকি যাদের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগও রয়েছে। প্রাউড বয়েজ নেতা এনরিক ট্যারিওর মুক্তি উপলক্ষে ইতিমধ্যে মিয়ামিতে একটি উদযাপনের পরিকল্পনা করা হচ্ছে।
ডোনাল্ড ট্রাম্প ২০১৬ সালের নির্বাচনে জয়লাভ করে প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব গ্রহণ করলেও তার প্রথম মেয়াদ ছিল বিতর্ক ও সমালোচনায় ভরা। ২০২০ সালের নির্বাচনে জো বাইডেনের কাছে পরাজিত হয়ে তিনি ক্ষমতা হারান। তবে ২০২৪ সালের নির্বাচনে জিতে আবারও হোয়াইট হাউসে ফিরেছেন ৭৮ বছর বয়সী রিপাবলিকান নেতা।
উল্লেখ্য, ২০২১ সালের ৬ জানুয়ারি ক্যাপিটল হিলে ট্রাম্প-সমর্থকদের হামলায় পুলিশসহ অন্তত পাঁচজন নিহত হন। এই হামলাকে যুক্তরাষ্ট্রের গণতন্ত্রের ওপর বড় আঘাত এবং অভ্যুত্থানচেষ্টা হিসেবে উল্লেখ করেছেন অনেক মার্কিন রাজনীতিবিদ।