“নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো” -বাংলা ভাষার একটি প্রাতিষ্ঠানিক ও আনুষ্ঠানিক শব্দগুচ্ছ, যা অফিসিয়াল পত্র-পত্রিকায় এবং প্রশাসনিক কার্যক্রমে বহুল ব্যবহৃত। এই বাক্যাংশটি বিশেষভাবে ব্যবহৃত হয় এমন পরিস্থিতিতে যেখানে কোনো নির্দেশ বা অনুরোধ উচ্চতর কর্তৃপক্ষের অনুমোদন বা নির্দেশনার ভিত্তিতে প্রেরণ করা হয়।
এই বাক্যাংশটির মূল উপাদান দুটি- “নির্দেশক্রমে” এবং “অনুরোধ করা হলো”।
নির্দেশক্রমে: এটি নির্দেশ করে যে, সংশ্লিষ্ট অনুরোধটি কোনো নির্দিষ্ট নিয়ম বা কর্তৃপক্ষের অনুমোদনের ভিত্তিতে করা হয়েছে।
অনুরোধ করা হলো: এই অংশটি একটি বিনীত ও সম্মানসূচক উপায়ে নির্দেশনাটি প্রেরণের অভিপ্রায় বোঝায়। এটি সাধারণত কোনো চাপ প্রয়োগ না করে কাজটি সম্পন্ন করার জন্য সহযোগিতা চাওয়ার লক্ষ্যে ব্যবহৃত হয়।
প্রাসঙ্গিকতা:
“নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো” বাক্যটি সরকারি অফিস, কর্পোরেট প্রতিষ্ঠান, বা কোনো সংগঠনের মধ্যে যোগাযোগ রক্ষার জন্য ব্যবহৃত হয়। এর ব্যবহার নিশ্চিত করে যে নির্দেশনাটি যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ করে প্রেরণ করা হয়েছে এবং এটি প্রাপকের প্রতি একটি শালীন ও সম্মানজনক আবেদন হিসেবে গণ্য হয়।
উদাহরণ:
ধরা যাক, একটি অফিস থেকে বলা হলো:
“আগামী ৩ কার্যদিবসের মধ্যে নির্ধারিত ফাইল জমা দিতে হবে। উচ্চতর কর্তৃপক্ষের নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো।”
এখানে দেখা যাচ্ছে যে, এই অনুরোধটি উচ্চতর কর্তৃপক্ষের নির্দেশনার ওপর ভিত্তি করে করা হয়েছে এবং এটি শালীন ভাষায় প্রকাশিত।
বাংলা ভাষায় আনুষ্ঠানিক বার্তা বা নির্দেশনার ক্ষেত্রে “নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো” একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। এটি ব্যবহারে দায়িত্বশীলতা এবং শালীনতার পরিচয় মেলে। প্রশাসনিক চিঠিপত্র বা অফিসিয়াল কাজের ক্ষেত্রে এর সঠিক প্রয়োগ নিশ্চিত করা প্রয়োজন, যাতে বার্তা পরিষ্কার এবং প্রাসঙ্গিক থাকে।