গাজীপুরে অপারেশন ‘ডেভিল হান্ট’ শুরু হয়েছে। শনিবার সন্ধ্যায় ডিসি অফিসের সামনে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের এক কর্মী গুলিবিদ্ধ হওয়ার পর যৌথ বাহিনী সাঁড়াশি অভিযান শুরু করেছে।
গাজীপুর ডিসি অফিসের সামনে সেনাবাহিনী চেকপোস্ট বসিয়েছে। সড়কে চলাচলকারী যানবাহন, বিশেষ করে মোটরসাইকেল থামিয়ে তল্লাশি চালানো হচ্ছে। পাশাপাশি সাদা পোশাকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরাও অপরাধীদের ধরতে অভিযান চালাচ্ছেন।
এর আগে, শুক্রবার (৭ ফেব্রুয়ারি) রাতে আওয়ামী লীগ সরকারের সাবেক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হকের বাড়িতে ছাত্র প্রতিনিধি আটকের খবর পাওয়া যায়। এরপর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের স্থানীয় এক সমন্বয়কসহ ছাত্র-জনতার ২০-৩০ জনের একটি দল সেখানে গেলে স্থানীয় আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা তাদের ওপর হামলা চালায়। হামলায় ১৫ জন আহত হন, যাদের মধ্যে গুরুতর আহত পাঁচজনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য রাতেই ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
এ ঘটনার প্রতিবাদে শুক্রবার রাতেই গাজীপুর মহানগরে বিক্ষোভ সমাবেশ করেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা। শনিবার দুপুরে শহরের রাজবাড়ী সড়কে হামলাকারীদের দ্রুত গ্রেফতারের দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশে গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার ড. মো. নাজমুল করিম খান গাজীপুর সদর থানার ওসি মো. আরিফুল ইসলামকে বরখাস্তের ঘোষণা দেন। তিনি জানান, ছাত্র আন্দোলনের নেতাকর্মীদের ওপর হামলার ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৬ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
শুক্রবার রাতের ঘটনার জেরে গাজীপুরে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পক্ষ থেকে অপরাধীদের গ্রেফতারের জন্য আল্টিমেটাম দেওয়া হয়। পরিস্থিতি বিবেচনায় সরকার দেশব্যাপী ‘অপারেশন ডেভিল হান্ট’ পরিচালনার ঘোষণা দেয়। এর মধ্যেই শনিবার সন্ধ্যায় গাজীপুর ডিসি অফিসের সামনে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের এক কর্মীকে গুলি করে দুর্বৃত্তরা, যা পরিস্থিতিকে আরও উত্তপ্ত করে তুলেছে।